দিনভর নানা উত্তেজনার মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে চলে একটানা দুপুর ২টা পর্যন্ত। তবে, কুয়েত মৈত্রী ও রোকেয়া হলে অনিয়মের কারণে কিছু সময় ভোট বন্ধ ছিল। পুনরায় শুরু হওয়ায় এখানে নির্ধারিত সময়ের পরও ভোট নেয়া হয়।
ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের প্যানেল ছাড়া বাকিরা এই ভোট দুপুরেই বর্জন করেছে। বিকেল ৫টা থেকে ভোট চলছে গণনা শুরু হয়েছে। রাতের মধ্যেই ফলাফল আসতে পারে।
বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় পার্লামেন্ট’খ্যাত ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ৪৩ হাজার ১৭৩ জন। এবারের নির্বাচনে ৭ প্রতিবন্ধী প্রার্থী ৭৩১ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ২৫টি পদের বিপরীতে ২২৯ জন লড়ছেন। ভিপি পদে ১১ জন, জিএস পদে ১৪ জন এবং এজিএস পদের প্রতিদ্বন্দ্বী ১৩ জন।
ভোটের আগেই বস্তাভর্তি ব্যালট উদ্ধার, ব্যালট পেপার চুরিসসহ নানা অভিযোগে ডাকসু ভোটের উত্তাপ এখন আন্দোলনে রুপ নিচ্ছে। ছাত্রলীগ ছাড়া সবপ্যানেল ভোট বর্জন করে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট আহ্বান করেছে।
বিকেল থেকে ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন ভোট বর্জনকারীরা। তারা কমিশন গঠন করে পুনরায় ভোটের দাবি জানাচ্ছেন।
কুয়েত মৈত্রী ও রোকেয়া হলে ভোটগ্রহণে বিঘ্ন ঘটায় নির্ধারিত সময়ের পরেও ভোট নেয়া হয়। ইতোমধ্যে ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্টকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
সুফিয়া কামাল হলেও অনিয়মের অভিযোগে ঘণ্টা খানেক ভোট বন্ধ ছিল। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এ এসএম মাহফুজুর রহমান শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন।
রেজিস্টার ভবনে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া দেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে উদ্ধার করে গন্তব্যে পৌঁছে দেন।
সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের অনেক শিক্ষার্থীকে ভোট দিতে না পেরে ফিরে যেতে দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু ও জিয়া হলে লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ভোট দিতে পারেননি অনেকে।
ভোটের শেষ পর্যায়ে মাস্টার দ্য সূর্যসেন হলে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে মৃদু ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় ৫ কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ছাত্রদল।