প্রাইম মুভার ট্রেইলার, ফ্লাটবেট, লো-বেট গাড়ির বিভিন্ন সমস্যা, দূর্দশা ও দূর্বোগ নিয়ে মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলনের আযোজন করে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেট ওনার্স এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব (এস রহমান হল) এ চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেট ওনার্স এসোসিয়েশনের কার্য় নির্বাহী সভাপতি মো: আবু বক্কর ছিদ্দিকির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল হাশেম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কার্য় নির্বাহী সভাপতি। সভাপতির লিখিত বক্তব্য পাঠ করা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন মঞ্চে উপবিষ্ট নেতৃবৃন্দ। উক্ত সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি হাজী জসিম উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোরশেদ হোসেন নিজামী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রেজাউল করিম, অর্থ সম্পাদক হাজী মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক হাজী মো: কামাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফকরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো: খোরশেদ আলম, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আবু তাহের, মোঃ সালাউন, মোঃ সবুজ, তৌহিদী লাইন্স এর মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ ইসমাইল হোসেন, হাক্কানী ট্রান্সপোর্টে এর মো: পলাশ, মোঃ জুয়েল, কে এম ইকুপমেন্ট এর মো: শাখাওয়াত হোসাইন, রিমা এন্টাপ্রাইজ এর মো: হারুন, মোঃ আকতার হোসেন আবছার, মোঃ দিদার আলম, প্রবীর ঘোষ প্রমুখ।
সভপতি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন দেশকে শিল্প বাণিজ্যে উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত করার পিছনে প্রাইম মুভার ট্রেইলারের অবদান অপরিসীম। দেশের সড়ক, মহাসড়ক, ব্রীজ রক্ষার জন্য ২০১১ সালে সরকার এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা প্রনয়ন করে। ২০১৫ সালের দিকে তার সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের উপর জোর দেয়। তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি, গোষ্ঠী গাড়ীর জরিমানার নামে অসহনীয় চাঁদাবাজি শুরু করে, যার ফলে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টানা ৫(পাঁচ) দিন প্রাইম মুভার ট্রেইলার কর্মবিরতি পালন করে। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন তদকালীন ও বর্তমান সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ওবাইদুল কাদের(এম.পি) মহোদয়ের হস্তক্ষেপে অচলাবস্থার সুরাহ করে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা চুড়ান্ত হয়। তিনি আরো বলেন দু:খ জনক হলেও সত্য যে, সম্প্রতি আকস্মিক ভাবে আমাদের অগোচরে সরকারি একটি কূচক্রীমহল প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে, যাহা আমরা কোন অবস্থাতে মানতে পারি না।
তিনি বলেন উন্নয়ন বান্ধব সরকারের ভিশন ২১ এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের পরযায়ে উপনিত হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিবেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, দেশের অসংখ্য পাওয়ার প্ল্যান্ট, মেঘা প্রজেক্ট, ভারী শিল্পজোন, চট্টগ্রামের সমুদ্র তলদেশে টার্নেল, মাতারবাড়ী শিল্পজোন ও গভীর সমুদ্র বন্দর সরকারের এ সমস্ত সাফল্যের পিছনে নিবিড় ভাবে জড়িয়ে আছে আমাদের এই সেক্টর। উল্লেখিত মেঘা প্রজেক্টের অধিকাংশ মালামাল ওভার সাইজ এবং হেভী। আজ যারা নদী পথের কথা বলে, এই নদী পথেও আমাদের গাড়ী ছাড়া মালামাল উঠানামা সম্ভব হয়নি, হবেও না। এমনকি দেশের বেশির ভাগ ভারী শিল্প, মেঘা প্রজেক্টগুলো এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে, যেখানে নদী পথের কোন ব্যবস্থা নেই, সরকার এবং আমাদের বুদ্ধি কৌশলের সাহসিকতায় এসব কাজ সফল হয়েছে। কিন্তু সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা একটি মহলের কারণে নতুন নীতিমালার সুযোগ নিয়ে আমাদেরকে যেই ভাবে হযরানি করা হচ্ছে তাতে যে কোন সময় আবার অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি বলেন অনাকাঙ্খিত ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেই জন্য সরকারের কাছে আমাদের সাম্প্রতিক নিম্নলিখিত সমস্যাবলীর দ্রুত সমাধানের আবেদন জানাচ্ছি।
১। দারোগাহাট ও দাউদকান্দিসহ দেশের বিভিন্ন স্কেলে অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধ করা।
২। লো-বেড, সেমি লো-বেড ও খোলা মালামাল পরিবিহনে চলমান নিয়মের আওতায় হয়রানি ও জরিমান চাঁদাবাজি বন্ধ করা।
৩। এক্সেল লোড নীতিমালা যখন তখন পরিবর্তন, আইন প্রনয়ণ, প্রজ্ঞাপনজারী বন্ধ করা।
৪। ভারী মালামাল পরিবহনে আলোচনা ভিত্তিক পরিকল্পিত স্বচ্ছ নীতিমালা প্রনয়ণ করা।
৫। দেশের সমস্ত জেলা সমূহে মেট্রো, জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের অনৈতিক নিরযাতন ও হয়রানী বন্ধ করা।
সভাপতি তার লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল এর মধ্যে আমাদের সমস্যার সামাধান করা না হলে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেট ওনার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যে কোন কর্মসূচী গ্রহণ করা হতে পারে।