আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন বিএনপির রাজনীতি এখন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার মধ্যে আটকে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি অথচ খালেদা জিয়া কারাগারে যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন বা পাচ্ছেন, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত আসামি এমন সুযোগ-সুবিধা পায় না। উপমহাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের নজির দেখা যায় না। এরপরও তাকে (খালেদা জিয়া) এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ফখরুল ইসলাম এবং রিজভীরা দিনে তিনবার করে কথা বলেন। তারা আবার বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, কথা বলার অধিকার নেই; এটা হাস্যকর অভিযোগ। তিনি আরও বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলের মুখে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছিল। হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছিল। এই দল ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টা করেছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমানের আমলে গণতন্ত্র তো নয়ই, কারফিউ ছিল। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বন্দুকের নলের আগায় যে দলের জন্ম, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবিন খালি রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তিনি যাননি। যে হাসপাতালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জীবন-সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি হয়েছিলেন, সেই হাসপাতালে খালেদা জিয়া চিকিৎসা নেবেন না। তাহলে কি এই প্রশ্ন জাগে, বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে হাসপাতালের নাম জড়িত বলে তিনি চিকিৎসা নেবেন না?
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রিজভী সাহেব একবার বলেন পরিত্যক্ত কারাগার ভবনে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে, আবার যখন তাকে নতুন কারাগারে স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে, তখন তিনি বলছেন নির্মাণাধীন কারাগারে খালেদা জিয়াকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাহলে খালেদা জিয়াকে কোথায় রাখা হবে, তাকে কি পাঁচ তারকা হোটেলে রাখতে হবে?’ সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, মারুফা আক্তার পপি, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।