ফটিকছড়িতে অতীতে কেউ কখনো একসাথে তিনজনের জানাযার নামাজ পড়েনি কোন ইমাম ও পড়াইনি। ২৬ নভেম্বর হাজারো এলাকাবাসী মাসুদ,আরিফ ও মিজানের এক সাথে জানাযার নামাজ পড়ে এক মর্মাহত ঘটনার এমন সাক্ষী হয়ে রইল। তাদের চির বিদায় দিতে হবে তা কখনো জন্মদাতা মা-বাবা কল্পনাও করেনি। আজ পিতার কাঁধে ও স্বজনদের কাঁধে করে চোখের জলে বুক ফাটা আর্তনাধের মধ্যে দিয়ে কবরে তাদের শুইয়ে দিলেন। পরে হাতে পানি নিয়ে বুকের ধনের শরীরে নয়, মাটিতে পানি ছিটিয়ে দিয়ে কেঁদে কেঁদে বাড়ী ফিরলেন সকলে। কিন্তু বাড়ীতেও চলছে শোকের মাতম। কে থামাবে কার কান্না, সবাইকে যে আজ এভাবে কাদঁতে হবে তা কখনো কেউ কল্পনা করেনি। পাইন্দং এলাকার আকাশে যেন কালো মেঘের ছায়া পড়েছে। শুধু বাবা-মা, ভাই-বোন ও স্বজন ছাড়াও এলাকা বাসীদের আহাজারীতে ভারী হয়েছে আকাশ বাতাস। উল্লেখ্য – চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তৈলবাহী ট্রাক ও মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে মাসুদ,আরিফ ও মিজান সহ ৩ কিশোরের মর্ম্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ নভেম্বর বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার চট্টগ্রাম -খাগড়াছড়ি সড়কের পাইন্দং তাজুর ঘাটা নামক স্থানে। তারা সকলে পাইন্দং ইউনিয়নের ফয়েজ আহম্মদ সওদাগর বাড়ীর জনৈক আবুল বশরের ছেলে মোঃ মাসুদ (১৬), আবু তাহেরের ছেলে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ আরিফ (১৬) ও আবুল কালামের ছেলে নবম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ মিজান (১৬)।