যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান বিক্রি না করায় রাশিয়ার কাছ থেকে এসইউ-৫৭ যুদ্ধবিমান কিনছে তুরস্ক। রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হাইটেক শিল্পপণ্য রফতানি কারক প্রতিষ্ঠান রোসটেক কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী সের্গেই চেমাজোভ এ কথা জানিয়েছেন। খবর আনাদোলুর।
রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমান (এসইউ-৫৭) অত্যাধুনিক মান বজায় রেখেছে এবং রফতানিযোগ্য সমরাস্ত্রের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
চেমাজোভ বলেন, এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি এসইউ-৫৭ যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তিও তুরস্ককে সরবরাহ করতে চায় রাশিয়া।
রোসটেক কর্পোরেশনের প্রধান বলেন, তুরস্কের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প উন্নয়নে সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে মস্কো।
রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ক্রয়ের তুর্কি পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে মার্কিন সরকার।ওয়াশিংটন আঙ্কারাকে হুমকি দিয়ে বলেছে, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার পরিকল্পনা বাতিল না করলে তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির চুক্তি বাতিল করে দেবে ওয়াশিংটন।এ অবস্থায় তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে সুখোই-৫৭ বিমান কিনতে পারে। মার্কিন এফ-৩৫ বিমানে একটি ইঞ্জিন কিন্তু রুশ সুখোই-৫৭ বিমানে দুইটি ইঞ্জিন। সুখোই ৫৭ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২,৬০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। আকাশে সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়তে পারে বিমানটি।সুপারসনিক বিমানটির দাম হবে ১২ কোটি মার্কিন ডলার।এসইউ-৫৭ বিমানটিকে শত্রুপক্ষের রাডার যাতে দেখতে না পায় সে জন্য এতে অত্যাধুনিক স্টিলথ প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে।বিমানটিকে কে-৭৭এম ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত করা হয়েছে যার পাল্লা ১২৫ মাইল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা এখনকার সর্বাধুনিক এইম-১২০ডি ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ পাল্লা ১০০ মাইল। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে থাকছে রাশিয়ান সুখোই।
ওয়াশিংটন আঙ্কারাকে হুমকি দিয়ে বলেছে, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার পরিকল্পনা বাতিল না করলে তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির চুক্তি বাতিল করে দেবে ওয়াশিংটন। মার্কিন ওই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সের্গেই চেমাজোভ এসব কথা বললেন।তিনি আনাদোলুকে আরো বলেন, ২০১৭ সালে তুরস্কের সঙ্গে এস-৪০০ রপ্তানির চুক্তি সই হয় এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ ওই চুক্তি অনুযায়ী এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি সরবরাহের কাজ সমাপ্ত করা হবে।