নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমেরিকা সবসময়ই পশ্চিম এশিয়ায় ইরান ভীতি ছড়ানো এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির মতভেদ ও উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে ইরান এ অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমানে চলমান উত্তেজনা নিরসনের জন্যও ইরান চেষ্টা চালাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমেরিকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিম এশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে ইরানের একটি প্রস্তাবের প্রতি রাশিয়া সমর্থন জানিয়েছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইরান পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি সইয়ের যে প্রস্তাব দিয়েছে তা ইতিবাচক এবং এ ধরণের চুক্তি উত্তেজনা কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি গতকাল মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের এ প্রস্তাবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।
ইরান-মার্কিন উত্তেজনা বাড়ার একই সময়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ গত রবিবার বাগদাদে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোকে অনাক্রমণ চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “এতে করে ইরানসহ এ অঞ্চলের দেশগুলো কেউ কারো ওপর হামলা চালাতে পারবে না এবং যেসব দেশের মধ্যে ইরান-ভীতি কাজ করে তারাও চিন্তামুক্ত থাকতে পারবে।”
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য নীতি কৌশলের ব্যাপারে তেহরান ও মস্কো অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। মস্কো মনে করে, এ অঞ্চলের দেশগুলো ইরানের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।”
সের্গেই ল্যাভরভ, যাইহোক আমেরিকা কোনো ভাবেই চায় না শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠুক। এ কারণে ওয়াশিংটন সবসময়ই ঐক্যের পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য ইরান এ পর্যন্ত নানা পরিকল্পনা বা প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এরই অংশ হিসেবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি বিরাজমান নানা সমস্যা সমাধানে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। ইরান মনে করে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই শুধুমাত্র এ অঞ্চলের দেশগুলোর সহযোগিতায় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
বর্তমানে আমেরিকার হস্তক্ষেপ এবং মার্কিন সামরিক উপস্থিতি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমেরিকা মনে করে নিরাপত্তাহীনতা ও উত্তেজনা জিইয়ে রাখার মধ্যেই তাদের স্বার্থ নিহিত রয়েছে। এ কারণে তারা সংলাপ বা ঐক্য প্রচেষ্টাকে নস্যাত করে দেয়ার চেষ্টা চালায়। বাস্তবতা হচ্ছে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে বাইরের হস্তক্ষেপমুক্ত হতে হবে। আরব দেশগুলো রাজনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্য একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে এবং বিভিন্ন ইস্যুতে তারা মতবিরোধে লিপ্ত। তারা প্রত্যেকে পাশ্চাত্যের সামরিক সহায়তা জরুরি বলে মনে করে। এ কারণে আমেরিকা চায় এ অঞ্চলে সবসময়ই উত্তেজনা জিইয়ে থাকুক।
এ অবস্থায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনাক্রমণ চুক্তির যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আস্থা সৃষ্টি এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমেরিকা সবসময়ই পশ্চিম এশিয়ায় ইরান ভীতি ছড়ানো এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির মতভেদ ও উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে ইরান এ অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমানে চলমান উত্তেজনা নিরসনের জন্যও ইরান চেষ্টা চালাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমেরিকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিম এশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে ইরানের একটি প্রস্তাবের প্রতি রাশিয়া সমর্থন জানিয়েছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইরান পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি সইয়ের যে প্রস্তাব দিয়েছে তা ইতিবাচক এবং এ ধরণের চুক্তি উত্তেজনা কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি গতকাল মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের এ প্রস্তাবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।
ইরান-মার্কিন উত্তেজনা বাড়ার একই সময়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ গত রবিবার বাগদাদে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোকে অনাক্রমণ চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “এতে করে ইরানসহ এ অঞ্চলের দেশগুলো কেউ কারো ওপর হামলা চালাতে পারবে না এবং যেসব দেশের মধ্যে ইরান-ভীতি কাজ করে তারাও চিন্তামুক্ত থাকতে পারবে।”
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য নীতি কৌশলের ব্যাপারে তেহরান ও মস্কো অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। মস্কো মনে করে, এ অঞ্চলের দেশগুলো ইরানের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।”
সের্গেই ল্যাভরভ, যাইহোক আমেরিকা কোনো ভাবেই চায় না শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠুক। এ কারণে ওয়াশিংটন সবসময়ই ঐক্যের পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য ইরান এ পর্যন্ত নানা পরিকল্পনা বা প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এরই অংশ হিসেবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি বিরাজমান নানা সমস্যা সমাধানে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। ইরান মনে করে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই শুধুমাত্র এ অঞ্চলের দেশগুলোর সহযোগিতায় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
বর্তমানে আমেরিকার হস্তক্ষেপ এবং মার্কিন সামরিক উপস্থিতি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমেরিকা মনে করে নিরাপত্তাহীনতা ও উত্তেজনা জিইয়ে রাখার মধ্যেই তাদের স্বার্থ নিহিত রয়েছে। এ কারণে তারা সংলাপ বা ঐক্য প্রচেষ্টাকে নস্যাত করে দেয়ার চেষ্টা চালায়। বাস্তবতা হচ্ছে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে বাইরের হস্তক্ষেপমুক্ত হতে হবে। আরব দেশগুলো রাজনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্য একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে এবং বিভিন্ন ইস্যুতে তারা মতবিরোধে লিপ্ত। তারা প্রত্যেকে পাশ্চাত্যের সামরিক সহায়তা জরুরি বলে মনে করে। এ কারণে আমেরিকা চায় এ অঞ্চলে সবসময়ই উত্তেজনা জিইয়ে থাকুক।
এ অবস্থায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনাক্রমণ চুক্তির যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আস্থা সৃষ্টি এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।