বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে রিফাত ফরাজী, রিফাত হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডের প্রধান সহযোগী। তার ভাই রিশান ফরাজীকেও পুলিশ খুঁজছে।
পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার (৩ জুলাই) রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের একটি দল রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে। তবে তাকে কোথা থেকে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি পুলিশ সুপার।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নয়ন মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের পূর্ব বুড়ির চর গ্রামের পায়রা নদীর তীরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
রিফাত ফরাজী বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি রোডের মো. দুলাল ফরাজীর বড় ছেলে। তার বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হামলা, ভাংচুর, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এছাড়া দলবল নিয়ে পুলিশের একজন এসআইয়ের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং তার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রিফাত।
পরিবারের দেওয়া নাম সাব্বির আহম্মেদ হলেও নিজেকে জেমস বন্ড ভাবতে ভালোবাসেন বলে ২৫ বছর বয়সী নয়ন নিজের নাম নেন নয়ন বন্ড। ওই নামেই তিনি বরগুনা শহরে পরিচিত ছিলেন।
জেমস বন্ডের কোড নম্বর ‘007’ এর সঙ্গে মিল রেখে তিনি একটি ফেইসবুক গ্রুপ খুলেছিলেন, যার মাধ্যমে তার সহযোগীদের মধ্যে যোগাযোগ হত। বলা হচ্ছে, ওই ফেইসবুক গ্রুপেই রিফাতকে হত্যার পরিকল্পনা সাজানো হয়।
নয়নের গড়ে তোলা গ্যাং 007 শহরের কলেজ রোড, ডিকেপি, দীঘির পাড়, কেজিস্কুল ও ধানসিঁড়ি এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ চালিয়ে আসছিল বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।
রিফাত খুন হওয়ার পরদিন তার বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা করেন। সেখানে ১ নম্বরে নয়ন ও ২ নম্বরে রিফাত ফরাজীর নাম ছিল।
অভিযানে নেমে পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে, যাদের মধ্যে এজাহরভুক্ত রয়েছেন পাঁচজন।