মিরসরাইয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলমকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে গতকাল(২৩সেপ্টম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন জামিনে থাকা মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলম। তার বিরুদ্ধে আদালতে করা মামলাটি মিথ্যা দাবি করে তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াহেদপুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলমের সঙ্গে একই এলাকার নুর হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জের ধরে গত ২৫ জুন নুর হোসেনের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে দিদারুল আলম ও তার স্ত্রী নারগিস আক্তারকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৪ জুন দিদারুল আলম তাদের দখলীয় সম্পত্তি থেকে বিভিন্ন ফলদ গাছ ও প্রায় ২০০ কাঁঠাল কেটে নিয়ে যান। এ সময় ফাহিমা বাঁধা দিলে দিদারুল আলম তাকে আঘাত করেন। এতে ফাহিমা আক্তারের গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু দিদারুল আলম দাবি করেন, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে হয়রানির জন্য মামলাটি করা হয়েছে। এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। মামলা করার পর আদালতের সমন গোপন করে তাকে পুলিশ দিয়ে গত ১৮ জুন রাতে গ্রেফতার করানো হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা হুমায়ন কবির, জসীম ও জামশেদ আলম জানান, তাদের এলাকায় কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।
সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয় রাজাকারের সন্তান গণ তাদের উপর নানা রকম নির্যাতন করে আসছে এবং মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলম কারাগার থাকাকালিন তাদের সম্পত্তি দখলে নিয়েছে।