শেরপুরে আগামী ২৪ ও ২৫ অক্টোবর খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ২২তম ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী বারমারীস্থ ‘সাধু লিওর খ্রীষ্টান ধর্মপ্লী’র সভা কক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে তীর্থ উদযাপন কমিটির সমন্বয়কারী রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র এম. চিরানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নালিতাবাড়ী সার্কেল এএসপি মো. জাহাঙ্গীর আলম, নালিতাবাড়ীর সহকারী কমিশনার (ভুমি) লুবনা শারমিন প্রমূখ।
অন্যান্যের মাঝে নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল, নয়াবিল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নুর ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী দেওয়ান, নিরাপত্তা কমিটির কনভেনার রেভারেন্ট ফাদার ফিদেলিস নেংমিনজা, বিজিবি প্রতিনিধি হাবিলদার মিজানুর রহমান ও জনমাংসাং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় অতিথিরা বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের খ্রীষ্টধর্মাবলম্বীদের এবারের তীর্থোৎসবে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য একজন নির্বার্হী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীসহ উল্লেখযোগ্য আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনসহ সিসিটিভি ক্যামেরার আওয়াতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত বারমারী সাধু লিওর এ ধর্মপল্লীটি ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে ও অনুকরনে পাহাড় ঘেরা মনোরম পরিবেশে তৈরী হওয়ায় এটিকে বার্ষিক তীর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়।
উৎসবে বৃহস্পতিবার বিকেলে পাপ স্বীকারের মাধ্যমে শুরু হবে মূল ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এরপর পবিত্র খ্রীষ্টযাগ, রাতে উৎসবের প্রধান আকর্ষণ আলোক শোভাযাত্রা এবং মধ্যরাতে সাক্রান্তের আরাধনা, নিশি জাগরণ ও নিরাময় অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রথম দিনের উৎসব শেষ হবে।
পরদিন শুক্রবার সকাল ৮ টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ ও সকাল ১০টায় মহা খ্রীস্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি হবে। এছাড়া উৎসবের পাশের মাঠে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত আদিবাসীদের নানা পসড়ার মেলাও বসবে।