ইরানের দাঙ্গাকারীদের প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যে সমর্থন জানিয়েছেন তাকে ‘ভণ্ডামি’ বলে মন্তব্য করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, পম্পেও’র বক্তব্যে রাশিয়া বিস্মিত হয়েছে। কারণ ইরানে যে কারণে বিক্ষোভ ও দাঙ্গা হয়েছে তার মূলে রয়েছে এই আমেরিকা।
জাখারোভা বলেন, ইরানের ওপর আমেরিকার ‘অবৈধ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে’ তেহরান তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। আর সেই কারণে ইরানে কিছু মানুষ ভাঙচুর ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা করায় মার্কিন সরকার ইরানি জনগণের পাশে থাকার দাবি করছে। অথচ ইরানি জনগণের ওপর মার্কিন সরকারের ওষুধ ও খাদ্য নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়ে টুইটারে বার্তা দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তেহরান। সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা-প্রধান পম্পেও বলেছিলেন, ইরানি জাতিকে নতজানু করতে তাদেরকে অবশ্যই ক্ষুধার শিকার করতে হবে! ইরানের জনগণের ওপর ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে অর্থনৈতিক সন্ত্রাস বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির নেতারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানি জাতিকে সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে পরমাণু-সংক্রান্ত সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পাশাপাশি নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞার জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন।
মার্কিন সরকারই ইরানের ব্যাপক জনপ্রিয় মোসাদ্দেক সরকারকে উৎখাত করেছিল। মার্কিন সরকারগুলোই স্বৈরতান্ত্রিক ও রাজতান্ত্রিক পাহলভি শাসকগোষ্ঠীর গণ-বিচ্ছিন্নতা দেখার পরও জনপ্রিয় ইসলামী বিপ্লবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইরানের সরকারের সঙ্গে সর্বোচ্চ শত্রুতা বজায় রেখেছে।