কাজী মামুন- আগেরকার মুরুব্বীরা বলতেন “বাত্তির নিচের আঁধার”। কথাটি সত্য ও বাস্তব। তবে এ প্রজন্মরা তার কোন বাস্তবতা খুঁজে পাবেন না। কালের পরিক্রমায় সেই বাত্তি গুলো বিলীন হয়ে গেছে। সেই সময়ে “চেরাগ” “ফানুস” ( হারিকেন) এর নিচে অন্ধকার থাকতো।
আসলেই “বাত্তির নিচে অন্ধকার” কথাটির মিল খুঁজে পেলাম। নিচের ছবির মহান ব্যক্তিটিকে অনেকেই হয়তো চিনবেনা এবং তাহার অবদানের কথা জানেন না। মরহুম মিয়ান মোঃ তহিদুল আনোয়ার। পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা, আভিজাত্য ও ব্যক্তিত্ববোধ সব মিলিয়ে তিনি একজন মহান হৃদয় মনের পরিপুর্ন মানুষ। যাহার জন্ম ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ভোঁ-ফকির বাড়ীর এক মুসলিম সম্ভান্ত ও অভিজাত পরিবারে।
তিনি যে পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন তা শুধু চট্রগ্রাম নয় সারা বাংলাদেশে একটি অভিজাত ও স্বনামধন্য পরিবারে খ্যাত। পুর্ব পুরুষ হতে আজ অবধি এ পরিবারের সদস্যরা রাজনীতি, শিক্ষা, ব্যবসা, সমাজসেবা সহ জনসেবা মুলক কর্মকান্ডে সুপরিচিতি ও সুখ্যাতি অর্জন করেছেন এবং করতেছেন ।
মরহুম মিয়ান মোঃ তহিদুল আনোয়ার ১৯৬৮ সনের পূর্বে ১৭ বছর নানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বনামধন্য চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম প্রতিষ্টাতা সেক্রেটারীও ছিলেন। চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি এতদঞ্চলের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও জনগনের সুখ দুঃখের সাথী ছিলেন। এখনো মুরুব্বীরা তাহার মত আর একজন চেয়ারম্যান হবেন না বলে স্মৃতিচারন করে থাকেন।
যাদের মেধা, শ্রম, ত্যাগ, আন্তরিকতা ও অবদানের জন্য আজ আমরা গর্বিত ও অহংকার করতে পারি এসব দেশবরেন্য, স্বনামধন্য মানুষগুলোর ইতিহাস ও পরিচয় নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আল্লাহ এই গুনী মহান হৃদয় মনের মানুষটিকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।
(ছবির জন্য মরহুম মিয়ান মোঃ তহিদুল আনোয়ার ভাগিনা ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক রায়হান রুপুর প্রতি কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ)