শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
………………………………
তাকালেই তুমি !
শুনেছি বর্ষার গান, শিশিরের কুঞ্জন ।
মনের গহীন থেকে স্মৃতি কাতরায় ।
স্মৃতির কাতরতায় চোখ মুদে
অন্বেষণ করি কিছু অনুভব ।
অন্বেষা করি কিছু ক্ষণের ।
শরীর গুলায় লবঙ্গের স্বাদে।
নোনা শরীরে অমৃতের ভাঁজ ।
চোখের পরতে পড়িনি তোমার ।
তুমি বৈকাল্য ,অন্ধ ।
চোখ যে তোমার খেয়া ঘাটের মাঝি ।
আমি বেদেনি ,যোগিনী ঘাটের বাঁকে ।
হাল দরিয়ায় তোল সাম্পানের সুর
দিয়া পাড়ের সব ঘাট ডুবে আছে ।
জলের আবহ সঙ্গীতে অপেরা মরে ধুঁকে ধুঁকে ।
তুমি পৃষ্ট টান করে অঙ্কুরিত শস্য কে করে
দিলে সফেদ বিরান ভূমি ।
সচকিত নুয়ে রেখে গেলে ভিন্ন ভাঁজের
জং ধরা যৌবনের ছিপি ।
পাপড়ির সুতোয় খোলেনী
অলক্ষ্যে নিবিড় পাশে চুপি চুপি
নখের ধারালো ব্লেড আদরে করোনি
রক্তাক্ত মাটির জমিন ।
পৃথিবীর গাঢ় ক্লান্তির ভেতর আঙ্গুল গুঁজে
সোপানের তৃষ্ণার্ত জমিন বীজ রোয়ানোর
শেকড় খুঁজে এক শীর্ণকায় পথ ।
হেমন্তে বসন্তে ভ্রমর খুঁজে খুঁজে
নধর দেহ খানি কংকালসার ।
নির্লিপ্ত শামুকের মতো আবরণে ঢাকো ।
ঘামের শরীর ছড়াক সুগন্ধি কাম রেণুতে ।
উড়ে যাক বুকের আঁচল ।
মিয়ে যাক শরীর তপ্ত পরশে ।
প্রাচীন বট বৃক্ষের মতো জাগতিক ডাক অবলীলায়
চাঁদের নিবিড়তায় ঘুমিয়ে পড়ে রাত্রি ।
বন্ধ্যাত্ব জমি আমি উপেক্ষিত কালবেলা সারাবেলা ।
আমার লালসা ঝড়ে কাঁচা মাংসের রসনা বিলাসে ।
শুধতম রাত্রির খেলা
বেলা শেষে মেঘ বেলায়
কাল বৈশাখীর এ কেমন ঝড় জঠরে ।
জানালার শার্সিতে নয় ।
ঘরের কার্নিশে নয় ।
আমাকে হেলেন করো ।
আমাকে উর্বশী করো ।
বনলতা করো ।
প্রেম গুলোকে বশ করে, আঁকড়ে ধরো যামিনী কে ।
কৃষ্ণকলি আমি আর অধরা চাঁদ তুমি ।
ঠিক দু চোখের মতো পাশাপাশি।
তবু দেখতে না পাওয়ার রোদনে
হৈমন্তী সন্ধ্যায় চোখ মেলে তাকিয়ে থাকি দিগন্তে ।
ঐ যে তুমি, সীমায়িত খণ্ডিত আকাশের
মেঘের আদলে !
ঐযে তুমি, সাত রঙা রামধনু তে
হেমন্তের শিশিরের আবরণে !!!
বুনো………..
