বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ) এর সম্মানিত চেয়ারম্যান, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সূফী মতবাদ এর উজ্জল নক্ষত্র ও তরীকত জগতের অবিসংবাদিত নেতা আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি. রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রনে ওআইসি’র ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে রাশিয়ান ফেডারেশন এর প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর উদ্যেগে রাশিয়ান ফেডারেশন এর অধীনস্থ উফা নগরীতে “আন্ত ধর্মীয়, শান্তি, সম্প্রীতি”র উপর আন্তর্জাতিক ইসলামীক কনফারেন্স গত ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া তিন দিন ব্যাপী অনুষ্টান শেষ করে গতকাল ১ ডিসেম্বর সারাদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মন্ত্রী, স্পীকার, সাংসদ ও সূফী মতাদর্শে বিশ্বাসী শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের সাথে কুশল, মত বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এই সব সাক্ষাতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের জন্য আজ ইসলাম বড় হুমকির সম্মুখীন। ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম, ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই। ওআইসি’র মাধ্যমে সারা বিশ্বে সূফী মতাদর্শ চর্চার মাধ্যমে আন্ত ধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করার জন্য ওআইসি ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। তিনি বাংলাদেশে সুন্নীয়ত তথা সূফী মতাদর্শের চর্চার কথা তুলে ধরেন এবং সূফী মতাদর্শ প্রতিষ্টায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সহযোগীতা কামনা করেন।
রাশিয়ায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মাঝে যাদের সাথে কুশল বিনিময় ও মতবিনিময় করেছেন তারা হলেন, ইরাকের ডেপুটি স্পীকার, ইরানের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী, ইরানের ডেপুটি স্পীকার, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর এডভাইজার এবং তুরস্কের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী,
সহ বিশ্বের ৫০ টি দেশ থেকে আসা সূফী মতাদর্শে বিশ্বাসী শীর্ষ ধর্মীয় নেতাগন।
রাশিয়ান ফেডারেশন এর এ ইসলামিক কনফারেন্সে আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বাংলাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আমন্ত্রন পেয়ে রাশিয়া সফরে গিয়েছেন। মাননীয় সাংসদ এর সাথে তাহার বড় শাহ্জাদা আলহাজ্ব সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারীও সফর সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
আজ ২ ডিসেম্বর রাশিয়ান স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা থেকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে গুরুত্বপূর্ন বৈঠক শেষ করেছেন এবং দুপুরে লাঞ্চ শেষে রাশিয়ান স্থানীয় সময় বিকাল ৫ টায় ইমারত এয়ার লাইনস যোগে দেশের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিবেন এবং আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর তিনি দেশে এসে পৌছাবেন।