শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ (জিএসকে) ওষুধ কারখানা বন্ধের পর এবার পুরো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিচ্ছে । বিক্রি হওয়া প্রতিষ্ঠানটি কিনে নিচ্ছে আরেক বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা গুনতে যাচ্ছে ইউনিলিভারকে। জিএসকের সর্বশেষ শেয়ারদর এক হাজার ৩৭২ টাকা বিবেচনায় যা প্রায় ২২ শতাংশ বেশি। শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতসহ এশিয়ার ২০ দেশের জনপ্রিয় পানীয় হরলিক্সসহ স্বাস্থ্য ও পুষ্টিপণ্য ব্যবসার পুরোটা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈশ্বিক জিএসকে। সম্প্রতি কোম্পানি দুটি পৃথক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। পুরো এ অধিগ্রহণ কার্যক্রমের জন্য ইউনিলিভারকে দিতে হবে মোট ৩১০ কোটি পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৩ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ভারতের বাজার ছেড়ে দিতে গুনতে হবে ২৪০ কোটি পাউন্ড বা ২৫ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে ভারতের শেয়ারবাজারে জিএসকের বাজারমূল্য বিবেচনায় যা শেয়ারপ্রতি ১৫ গুণ। সেখানে কোম্পানি দুটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ায় হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের সঙ্গে জিএসকে একীভূত করা হবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বাকি ২০ দেশের বাজার ছাড়তে জিএসকে পাবে ছয় হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশের বাজারের জন্য দর ধরা হয়েছে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সংশ্নিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদনক্রমে আগামী এক বছরের মধ্যে মালিকানা বদলের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে। জিএসকে বাংলাদেশের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান রোমানা আহমেদ জানান, তাদের কোম্পানি এ দেশের ব্যবসা কার্যক্রম ইউনিলিভারের কাছে বিক্রি করছে। অর্থাৎ কোম্পানিটি বন্ধ হচ্ছে না। মালিকানা বদল শেষে এর নাম পরিবর্তন হতে পারে। হরলিকসসহ অন্যান্য পণ্য বাজারে আগের মতোই পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ইউনিলিভার তালিকাভুক্ত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত জিএসকে তালিকাভুক্ত থাকবে কি-না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি রোমানা আহমেদ। তিনি বলেন, এটা ইউনিলিভারের সিদ্ধান্ত। জিএসকের মূল কোম্পানি থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ডিএসইতে জিএসকের শেয়ারদর ছিল এক হাজার ৩৭২ টাকা ১০ পয়সা। জিএসকে বাংলাদেশের মোট শেয়ারের ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশ জিএসকে গ্লোবালের, যার বাজারমূল্য ১ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশে বাকি শেয়ার রয়েছে শেয়ারবাজারের অন্যান্য বিনিয়োগকারীর হাতে, যার মূল্য ২৯৮ কোটি টাকা।
গ্লাক্সো বাংলাদেশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ কোটি টাকায়
