দারিদ্রপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের ওপর বৃহস্পতিবার সৌদি আরব অন্তত ২৮ বার বিমান হামলা চালিয়েছে। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ইয়েমেন ইস্যুতে যখন হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন ও পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দুরাব্বু মানসুর হাদির অনুগত লোকজন সংঘাত অবসানের জন্য শান্তি আলোচনা করছে তখন সৌদি আরব দৃশ্যত হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইয়েমেনের এক জেনারেলের বরাত দিয়ে আল-মাসিরা টেলিভিশন চ্যানেল বলেছে, সৌদি আরব ও তাদের ভাড়াটে সেনাদের হামলা অব্যাহত রাখার ঘটনায় এটাই প্রমাণ করে যে, আগ্রাসীরা ইয়েমেন দ্বন্দ্বের অবসান চায় না। ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি জানান, গতকালের বিমান হামলায় তিন নারী নিহত ও বহু ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এসব হামলার জবাবে হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সেনারা সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় জিজান প্রদেশে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
সুইডেনে অনুষ্ঠানরত শান্তি আলোচনা এক সপ্তাহ চলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গতকাল এ আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্য দিকে ভিন্ন মতাবলম্বী সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত উল্লেখ করে মার্কিন সিনেটে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দল যুবরাজ সালমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে দোষী সাব্যস্ত করলো। বুধবার দুই রাজনৈতিক দলের ছয় সিনেট সদস্য এ প্রস্তাবনা আনেন। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সাংবাদিক খাশোগি হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ বিন সালমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সিনেটে প্রস্তাব আনা সদস্যরা হলেন, রিপাবলিকান দলের লিন্ডসে গ্রাহাম, ম্যাক্রো রুবিও ও টোড ইয়ং এবং ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য ড্যানি ফেইনস্টেইন, এডওয়ার্ড মার্কি এবং ক্রিস কুন্স। উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেট ভবন থেকে নিখোঁজ হন জামাল খাশোগি। সৌদি এজেন্টরা সেখানে গিয়ে জামাল খাশোগিকে হত্যা করে।
শান্তি আলোচনার নামে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের উপর বিমান হামলা করছে সৌদি আরব
