বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর, অবশেষে মুক্তি পেলেন। বিএনপি’র চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার এই সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান আজ (২৫ মার্চ) বুধবার বেলা তিনটার দিকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি দেয়ার পর পরিবারের সদস্যরা এবং বিএনপির মহাসচিব তাকে গ্রহণ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয় মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তি দেয়ার পর থেকে এই ছয় মাস গণনা শুরু হবে।
আইনমন্ত্রী জানান দুইটি শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেগুলো হলো, এই সময়ে তাঁর ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ”বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায়, মানবিক কারণে, সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এদিকে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার মুক্তির ঘোষণা আসার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, এতে দল ও নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি বোধ কাজ করছে।
তিনি বলেন, ”সরকারের এই সিদ্ধান্তে দল ও নেতাকর্মীরা যেমন স্বস্তি বোধ করছেন, আবেগ কাজ করছে, পাশাপাশি তাদের মধ্যে একটি আতঙ্কও কাজ করছে এটা ভেবে যে এমন একটা সময়ে তাকে মুক্তির এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, যখন করোনাভাইরাস নিয়ে একটি দুর্যোগ চলছে।’