বিতর্কিত ও নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের দাবি তাবলিগ জামাত নিষিদ্ধ করতে হবে।
তার মতে, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলিগ জামাতের ধর্মীয় জমায়েত করায় ভারতে করোনা ছড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ওই মসজিদে আয়োজিত তাবলিগ জামাতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্তত ১২ জন এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ৬৪৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।
এ অবস্থায় নিজের টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাবলিগ জামাত নিষিদ্ধ করার দাবিতে সরব হয়েছেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। টুইটারে তিনি লেখেন, তাবলিগ জামাতের উদাসীনতার জন্য বহু মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। তাই তাবলিগ জামাতকে নিষিদ্ধ করা উচিত।
এরআগেও টুইট করে নিজামুদ্দিনের জমায়েতের প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তসলিমা। আগে তিনি লিখেছিলেন, তাবলিগ জামাত হচ্ছে গন্ডমূর্খদের সংগঠন। এটাকে উজবেকিস্তান, কাজাখাস্তান, তাজাকিস্তানের মতো দেশ এই প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এটাকে বিশ্বের সব দেশে নিষিদ্ধ করা উচিত।
এছাড়া মালয়েশিয়ায় করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে তসলিমা টুইট করেন। তিনি লিখেছিলেন, মালয়েশিয়ায় মৃত্যুর সঙ্গে তাবলিগ জামাতের যোগ রয়েছে। তারপরেও ভারত কেন জমায়েত করতে দিল?
ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে, এর পেছনে অন্যতম কারণ দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজের তাবলিগ জামাত। মারকাজ প্রধান মাওলানা সাদ কান্দলভি সরকারের নির্দেশ অমান্য করে জমায়েত করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবেলা করা যাবে সেটা নিয়ে ঘুম হারাম কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির। এরই মধ্যে মহামারি ছড়ানোর অভিযোগে তাবলিগ প্রধান মাওলানা সাদ কান্দলভির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে পুলিশ।