ভারতীয় সেনারা করোনা লকডাউনের মধ্যে ৯ কাশ্মীরি মুসলমানকে গুলি করে হত্যা করেছে। কাশ্মীর উপত্যকায় পৃথক সেনা অভিযানে তাদের হত্যা করা হয়।
শনিবার বাটপোরার অভিযানে নিহত হন চার জন এবংরোববার ভোররাতে কুপওয়ারার নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই গুলিযুদ্ধে নিহত হন আরও পাঁচজন। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পাল্টা হামলায় তাদের ৩ সেনা সদস্যও নিহত হয়েছেন।
সেনাবাহিনী সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, গত বুধবার উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারার জামগুন্দ গুগুলদারা তিন বেহক এলাকায় অন্তত দু’বার জঙ্গিদের উপস্থিতি বুঝতে পারেন সেনা জওয়ানরা। জঙ্গিরা গুলি চালায় বলেও সেনা সূত্রে খবর। কিন্তু ওই এলাকা গভীর জঙ্গলে ঢাকা থাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালিয়েও তখন জঙ্গিদের খুঁজে বের করা যায়নি। এরপর রোববার ভোররাতে ফের তাদের গতিবিধি নজরে আসে। এর পরেই শুরু হয় অভিযানের প্রস্তুতি।
ভোর রাতেই অভিযানে নামে সেনার ৮-জাঠ বাহিনী। কিন্তু ওই এলাকাও ঘন জঙ্গলে ঢাকা থাকায় প্রথম দিকে জঙ্গিদের খুঁজে পেতে সমস্যা দেখা দেয়। আওয়াউরা, কুমকড়ি, জুরহুমা, সাফাওয়ালি, বাটপোরা, হাইহামা এলাকায় এক যোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনার ৪১ আরআর, ৫৭ আরআর, ১৬০টিএ এবং কুপওয়ারার এসওজি। হেলিকপ্টারেও তল্লাশি চালানো হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এর পর রংদোরি বেহক এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলিযুদ্ধ শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ গুলিবিনিময় চলে। রোববার সকালে উদ্ধার হয় পাঁচ জঙ্গির মৃতদেহ।
অন্য দিকে বাটপোরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার জনকে হত্যা করে সেনা জওয়ানরা।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ১৯৮৯ সাল থেকে কাশ্মীরে বিদ্রোহী গ্রুপটি কাশ্মীরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। এদের দমন করতে ভারত নানা সময় নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত ভারতীয় সেনাদের হাতে ৭০ হাজার কাশ্মীরি নিহত হয়েছেন। এ উপত্যকায় নানা দমন-নিপীড়নের কারণে মুসলিম অধ্যূষিত ওই উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষ স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের সমর্থন করেন।