ডাঃ মোঃ ইসতিয়াখ আহাম্মেদ-
যৌবনের একটি অবাঞ্ছিত সমস্যার নাম হচ্ছে ব্রণ। সুন্দর মুখশ্রীর ওপর ব্রণ যদি দেখা দেয় তাহলে ছেলে বা মেয়েই হোক, কারোরই মনে স্বস্তি থাকেনা,
কোন বয়সে বেশি হয়ঃ ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সে এটি বেশি হয়। তবে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত এটি হতে দেখা যায়। টিনএজারদের মধ্যে শতকরা নব্বই ভাগের ক্ষেত্রেই কম অথবা বেশি পরিমাণে এটি হয়ে থাকে। ২০ বছর বয়সের পর থেকে এটি ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
শরীরের কোথায় হয়ঃ সাধারণত মুখে যেমন গাল, নাক, থুতনি ও কপালে হতে দেখা যায়। তবে শরীরের উপরের অংশে ও হাতের ওপরের অংশেও হরহামেশাই হতে দেখা যায়।
ব্রণ হওয়ার কারণ সমূহঃ বংশগত প্রভাব একটি অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ কারণ। স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়ায় একটি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যার নাম প্রোপাওনি ব্যাকটেরিয়াম একনি। বয়ঃসন্ধিকালে এড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে সেবাসিয়াস গ্রন্হি থেকে সেবামের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই সেবাম থেকে ফ্রি ফ্যাটি এসিড তৈরি করে লোমের গোড়ার উপস্হিত ব্যাকটেরিয়া। ফলে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এই ফ্যাটি এসিডের প্রভাবে। এর পাশাপাশি জমা হয় লোমের গোড়ায় কেরাটিন নামক পদার্থ। ফলে সেবাসিয়াস গ্রন্হিপথ বন্ধ হতে থাকে এই কেরাটিন, লিপিড আর মেলানিন পদার্থ দিয়ে ব্লাক হেড, বা হোয়াইট হেড,হিসেবে দেখা দিয়ে থাকে,
২/মেছতা হওয়ার কারন ও লক্ষন সমূহঃ
ত্বকের যে সমস্ত সমস্যা বেশি দেখা যায় তার মাঝে অন্যতম হলো মেছতা। এর জন্য মেয়েরা খুব দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকে। এটি ছেলে মেয়ে উভয়েরই হতে পারে। তবে তুলনামূলকভাবে মেয়েদের বেশি হয়। সাধারণত ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সি মেয়েদের হয়ে থাকে,
মেছতা কী ?
আমাদের ত্বকের নীচে মেলানিন নামক এক ধরণের রঞ্জক পদার্থ থাকে। কোন কারণে ত্বকের বিশেষ জায়গায় এটির কার্যক্ষমতা বেশি হলে ত্বকের সেই অংশটি পার্শ্ববতী অংশের চেয়ে বেশি গাঢ় হয়ে যায়। ফলে ওই অংশটি কালো বা বাদামি থেকে হালকা বাদামি দেখায়। একে মেছতা বলে। এটি কোন এলার্জি না। মেছতার জন্য ক্যান্সার বা খারাপ কিছুই হয় না। শুধুমাত্র এটার একটাই ক্ষতি করে আর তা হলো সৌন্দর্যহানি।
মেছতার উপসর্গ কারণ
মেছতার উপসর্গ কী ?
মেছতা শরীরের যে কোন জায়গায় হতে পারে তবে সাধারণত যেসকল জায়গায় সূর্যের আলো বেশি পড়ে সেই জায়গায় বেশি হয়। মেছতার উপসর্গ একটাই ,তা হলো কালো বা বাদামি রঙের ছোপ বিশেষ করে, গালে, নাকের উপরে, থুতনিতে, উপরের ঠোঁটের উপরের অংশে, গলায়, ঘাড়ে এমনকি হাতেও হতে পারে।
মেছতার কারণ সমূহঃ
০১. প্রোটেকশন ছাড়া অর্থাৎ সানস্ক্রিন বা ছাতা ছাড়া অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে গেলে এটি হয়। সূর্যের আলোই এটির প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়।
০২. হরমোনের তারতম্য ঘটলে, যেমন গর্ভাবস্থায় এটি হয়ে থাকে।
০৩. হরমোন ওষুধ ব্যবহারে বা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিলে,
০৪. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে।
০৫. থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য ঘটলে।
৩/ ফুঁস্কুড়ি হওয়ার কারন ও লক্ষন,সমূহঃ
ফুঁস্কুড়ি হওয়ার কারন সমূহঃ (১) কোষ্টকাঠিন্য হলে, ( ২) লিভারের দূর্বলতা থাকলে (৩) রক্ত দূষন হলে (৪)অার্সেনিক যুক্ত পানি পান করলে , (৫) প্রশ্রাবে ইনফেকশন হলে,
ফুঁস্কুড়ি হওয়ার লক্ষন সমূহঃ ফুঁস্কুড়ি একধরনের চর্ম রোগ যা বেশির ভাগ মুখ, কপাল,গাল,এবং থুতনিতে হয়ে থাকে, শরীরের অন্যান্য স্থানে এটি কমই হয়ে থাকে, ফুঁস্কুড়ি হলে মুখে গোটা গোটা দাঁগ দেখা দেয়, কোন ব্যাক্তির দাঁগ গুলো বড় হয়ে উঠে,, অাবার কোন ব্যাক্তির দাঁগ গুলো ছোট ছোট অাকারে দেখা দেয়,, ফুঁস্কুড়ির দাঁগ গুলোতে কখনই চুলকানী হয় না,তবে এর দীর্ঘ স্থায়ীত্বার উপর নির্ভর করে দাঁগ গুলো কালো অাকার ধারন করে এবং পেকে দাঁগ গুলো থেতে পূজ বের হয়,,,