ঈদের নামাজের পর পর চন্দনাইশ বৈলতলী জাফরাবাদ এলাকায় সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ রাউন্ডের অধিক গুলি বর্ষণ।
আজ (২৫ মে)সোমবার সকালে ঈদের নামাজের পর পর বৈলতলী জাফরাবাদ এলাকায় ৬নংওয়ার্ডে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে ১৫ রাউন্ডের অধিক গুলি বর্ষন হয়। উক্ত সংঘর্ষে জাফরাবাদ এলাকার মৃত বাচা মিয়ার ছেলে মো.হানিফ (২৮), মৃত আহমদ কবিরের ছেলে আকাশ কবির তুষার (২৭), আবু ছৈয়দের ছেলে শহীদুল ইসলাম মিনার(২৫) গুলিবিদ্ধ হয়। তাছাড়া পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত জাহেদ হোসেনের ছেলে মো.জাবেদ (৩০), মৃত আহমদ কবিরের ছেলে কনিক (৩২), নুরুল হকের ছেলে মফিক (১২), আবুল কাশেম চৌধুরী’র ছেলে রনি চৌধুরী (৩৫) আহত হয়। আহতদের মধ্যে হানিফ ও তুষারকে দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অপরদিকে শহীদুল ইসলাম মিনার ও রনি চৌধুরীকে চমেক হাসপাতালে সরাসরি চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেম্বার মহিবুল্লাহ।
স্থানীয়রা জানান, পক্ষদ্বয়ের মধ্যে জায়গা সম্পত্তির বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়ে আসছে। যার মামলাও চলমান রয়েছে। আজ ২৫ মে আবারও ঈদের নামাজের পর পর পক্ষদ্বয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পযার্য়ে গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় ১৫ রাউন্ডের অধিক গুলির শব্দ শোনা যায়। দীর্ঘ ২ ঘন্টাকাল ধরে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্ত্তী বলেছেন, গোলাগুলির বিষয়টি তিনি জানেন না। ২ জন আহত ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। ঘটনার শুরু হওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। বর্তমানে পুলিশ ঘটনা স্থলে অবস্থান করছে।