পুলিশের সোর্সকে মারধরের ঘটনায় আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকার মারুফ নামের এক ছেলের মা বোনকে পুলিশ কর্তৃক নাজেহাল ও আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ায় আত্মহত্যা করেন ঐ ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকার মারুফ (১৬) নামের ঐ ছেলে চাচার ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। মারুফের স্বজন ও এলাকাবাসীরা বলছেন, এসআই হেলাল মারুফের মা-বোনকে লাঞ্চিত করায় সে রাগে অপমানে আত্মহত্যার পথই বেছে নিয়েছে। মা বোনের অপমানিত হওয়া এবং মা বোনকে থানায় নিয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি মারুফ। যার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পুলিশের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এবং পুলিশের হাতে মা বোনের লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা সহ্য করতে না পেরে মারুফ আত্মহত্যা করেছেন। এ দায় কোনোভাবেই পুলিশ প্রশাসন এড়াতে পারেন না। পুলিশকে অবশ্যই এ দায় নিতে হবে।
সূত্র জানায়, আগ্রাবাদের বাদামতলি মসজিদ গলির মারুফের বাড়ীর পেছনে পুলিশের এক সোর্সকে ঘুরাফেরা করতে দেখে আত্মহত্যাকারী মারুফসহ কয়েকজন যুবক চোর ভেবে গণপিটুনী দেয়। এক পর্যায়ে সেখানে সাদা পোশাকের পুলিশ এসে ধরপাকড় শুরু করলে মারুফ পালিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ মারুফকে না পেয়ে তার মা বোনকে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি মারুফ সহ্য করতে না পেরে চাচার ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হেলালকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। একই সাথে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) একটি তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটি আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে।
কমিটির সদস্যরা হলেন ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ও ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত)। এ কমিটি আগামি ১২ ঘন্টার মধ্যে মারুফের আত্মহত্যা বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিবেন।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম জোন) ফারুক-উল হক।