নগরীর চকবাজার এলাকায় লাগামহীনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে কিশোর গ্যাং বাহিনী। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয়দানকারী দেলোয়ার ও একরাম। পূর্বে গ্যাং গ্রুপকে নেতৃত্ব দানকারী যুবলীগ নেতা টিনু বর্তমানে জেলে। তার অনুপস্থিতিতে এখন দেলোয়ার, একরাম ও টিনু গ্রুপের বিশাল আরেকটি গ্যাং ছড়িয়ে পড়েছে চকবাজার ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায়। গোপন সূত্রে জানা যায়, এসব গ্যাং বাহিনীর অত্যাচারে উক্ত এলাকাসমূহের হতদরিদ্র মানুষজন প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবন অতিবাহিত করছেন।
এসব গ্রুপ মাঝেমধ্যে আইনের হাতে ধরা পড়লেও কোন এক অদৃশ্য কারণে আবার বুক ফুঁলিয়ে বের হয়ে আসে।গোপন সূত্রে আরো জানা যায়, দেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে দেলোয়ার ও একরাম কিছুদিন দেশের বাইরে অবস্থান করে। কিন্তু বর্তমানে তারা চকবাজার ও মেডিক্যাল এলাকা পুনরায় দখল করে চাঁদাবাজি, হয়রানি, রাহাজানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আবার শুরু করে। তাদের গ্যাং-এর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা।আবার এদেরকে টাকার বিনিময়ে শেল্টার দেয় পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
তারা টাকার বিনি়ময়ে সবকিছু সামলে নেয়, ফলে তাদের দূর্নীতি ও কুকর্ম বাহিরে আর প্রকাশ হয় না। এসব বাহিনীর অত্যাচার দীর্ঘদিন মুখ বুঝে সহ্য করলেও বর্তমানে তাদের কুকর্মের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করছে কিছু মানুষ।এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, দ্রুত এই সব অপরাধীদের মোকাবেলা করতে যদিও পুলিশ বাহিনী নীরব, মাঠে নেমেছে সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী অপরাধ জগতের সকলকে এই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্থির ব্যবস্থা করা হবে।
চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকায় এক সময়ে যুবলীগ নেতা টিনু গ্রুপের রাজত্ব ছিল। বর্তমানে টিনুর গডফাদার একরাম হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন ফরহাদের নিয়ন্ত্রণে চলছে এসব চাঁদাবাজি। টিনুর নিয়ন্ত্রণে যে সব ছিল সেটাও নিয়ন্ত্রণে রেখেছে একরাম হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ গং।এদকে গুরুত্বপূর্ণ সূত্রে আরো কিছু ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে আসে।
জানা যায়, চকবাজার টেম্পো স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা তুলেন দেলোয়ারের অনুসারী পাইপ ফিটার মিস্ত্রি হাসান ও কাইয়ুম।
চকবাজার ধনিয়ার পুলে টম টম থেকে চাঁদা তুলেন বাবলু দাস ও বিপ্লব দে (খলিফা মিস্ত্রি) এবং চকবাজারে বিভিন্ন হকারের কাছ থেকে চাঁদা তুলেন বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।কিছুদিন আগে একরাম হোসেন, নিলু আক্তার নামে এক মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় কারাগারে গিয়েছিলেন তিনি। এখন জামিনে মুক্ত হওয়ার খবরে নিলু আক্তার একরামের ভয়ে চট্টগ্রাম শহরের বায়োজিদ এলাকা থেকে পালিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান।একরাম জামিনে জেলমুক্ত হওয়ার পর প্রতিনিয়ত নিলু আক্তার ও তার স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকিদমকি দিয়ে যাচ্ছিল।
ভিকটিম নিলু আক্তার বলেন, আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরেও তারা টাকার জোরে পার পেয়ে যাচ্ছে। এবং এতে করে আমি ও আমার পরিবার চট্টগ্রামে থাকতে পারছি না। আমার স্বামীকে নিয়ে আমি গ্রামের বাড়িতে চলে আসি। এখানেও আমাকে মামলা উঠিয়ে নিতে হুমকি দিচ্ছে এবং মামলা উঠিয়ে না নিলে আমার পরিণতি ভালো হবে না বলেও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন একরাম হোসেন।পরে তিনি প্রশাসন সহ রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দানকারী উর্ধতন সকলের কাছে দেলোয়ার ও একরাম গ্যাং তথা সন্ত্রাসী বাহিনীদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবার জোর দাবি জানান।