আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শ্রমিকের বেতন-ভাতা নিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না বলে সতক করে দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গার্মেন্টস এফেয়ার্স ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) প্রেসিডেন্ট সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুকুর মাহমুদ, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এ নির্বাচনকে বানচাল করতে একটি মহল চেষ্টা করে যাচ্ছে। এজন্য তারা দেশের সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাক শিল্পে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। তারা শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, নতুন বেতন নিয়ে শ্রমিকদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তারা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের বেতনের নতুন বর্ধিত বেতন পাবেন ২০১৯ এর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এবারও সাতটি গ্রেডে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। এজন্য ২০১৩ সালের কাঠামোকে অনুসরণ করা হয়। তাই এটা নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তির কিছু নেই। এছাড়া আমরা এই কাঠামোর একটি চার্ট প্রতিটি মালিকের কাছে পাঠিয়ে দেবো।
এসময় মালিকদের সতর্ক করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেন। কীভাবে দেবেন, সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। প্রয়োজনে ঘর-বাড়ি বিক্রি করে বেতন পরিশোধ করেন। ব্যবসা করবেন, শ্রমিকদের বেতন দেবেন না এটা তো হতে পারে না। একই সঙ্গে মালিকদের নিয়মিত শ্রমিকদের সঙ্গে সভা করারও পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী।
এতে বিকেএমইএ’র প্রেসিডেন্ট সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের কিছু কারখানার মালিক শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করছে না। বেতন বন্ধ করার কোনো কারণ নেই। যদি তারা বেতন দিতে একইসঙ্গে ওসমান বলেন, যদি এই সাতদিনের মধ্যে বেতন পরিশোধ না করেন মালিকরা, তাহলে বুঝবো আপনারা নির্বাচনকে ব্যহত করার জন্য তৃতীয় কোনো শক্তিকে সহায়তা করছেন। তাই শিগগিরই বেতন পরিশোধ করে দেন।না পারে, তাহলে শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে বেতন পরিশোধ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
পোশাকশিল্পে বিশৃঙ্খলা নয়-শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
