চিত্রনায়িকা আঁচল তার কৈশোর বয়সে অসংখ্য প্রেমের প্রস্তাব পেতেন। সাথে সে সময় অনেকে এই নায়িকাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিতেন। এ সময় প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বেশ লজ্জার মধ্যে পড়তে হতো তাঁকে। এখনো নিয়মিত প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব পান তিনি। সেসব প্রস্তাব কড়া ভাষায় ‘না’ করে দেন এই অভিনেত্রী। ঘর সংসার নিয়ে এখন ভাবছেনই না তিনি। সিনেমা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান এই ঢালিউড নায়িকা।
সম্প্রতি একটি বিয়ের ছবি পোস্ট করেছেন আঁচল। সেখানে বিয়ের সাজে দেখা যায় তাঁকে। ছবিটি সম্পর্কে আঁচল বলেন, ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিগুলো সম্প্রতি শেষ হওয়া ‘কাজের ছেলে’ ও ‘আয়না’ ছবির একটি দৃশ্যের। বাস্তবে প্রেম-বিয়ে কিছুর মধ্যে নেই আঁচল। কাজ ছাড়া কোনো কিছুই মাথায় নিতে চান না আঁচল। তিনি বলেন, বিয়ে করলেও ২০২৫ সালের পর।
২০১৭ সাল থেকে ইচ্ছা করে খুব বেশি ছবিতে অভিনয় করেননি তিনি। ক্যারিয়ারে গত তিন বছর আঁচল ধৈর্য ধরে ছিলেন। এই সময়ে মিডিয়ায় কাজের সংখ্যা কম ছিল। কোনো গল্পও পছন্দ হচ্ছিল না। আঁচল বললেন, খারাপ গল্পের ছবিতে কাজ করার চেয়ে না করাই ভালো। এ জন্য তিনি অপেক্ষা করেছেন এত দিন। করোনাকালে ঢালিউড নায়িকাদের মধ্যে সর্বাধিক ছবিতে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, ‘আয়না’, ‘রাগী’, ‘কাজের ছেলে’, ‘চিৎকার’, ‘করপোরেট’, ‘যমজ ভূতের গল্প’সহ সাতটি ছবি নিয়েই তাঁর ব্যস্ততা। তাঁর অভিনীত চারটি ছবির শুটিং শেষ। দুটি ছবির কাজ এখনো বাকি আছে। হাতে রয়েছে নতুন একটি ছবির কাজ। এই অভিনেত্রী বললেন, ‘শুটিং করতে গিয়ে এখন আর করোনাকে ভয় পান না। তা ছাড়া রোমান্টিক দৃশ্যে নায়কের কাছে যেতেই হয়। শুটিংয়ে খল চরিত্রের সঙ্গে মারামারিও করতে হয়। কারণ, এসব ছাড়া বাণিজ্যিক ছবি হয় না।’
সম্প্রতি ‘করপোরেট’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন আঁচল। শুটিং ছিল গাজীপুর। গানের একটি দৃশ্যে শুটিং করতে করতে রাত হয়ে যায়। শুটিং শেষ করে কম্বলের নিচে তিনি। এমন সময় তাঁকে ইউনিট থেকে জানানো হয়, একটি শট বাকি আছে। শীতের মধ্যে তাঁকে ঠান্ডা পানিতে নামতে হবে। বললেন, ‘আমি বললাম, নামব না। ভোর চারটা। তখন খুব ঠান্ডা। পরে দেখি সবাই অসহায়ের মতো আমার জন্য বসে আছেন। তখন চিৎকার দিয়ে পানিতে নামার ঘোষণা দিয়েছিলাম। টানা ৩০ মিনিট ঠান্ডা পানিতে ভিজতে হয়েছিল। পানিতে নামার আগে প্রস্তুতি হিসেবে কাঠে আগুন ধরানো হয়েছিল। ঠান্ডা কম লাগার জন্য পুরো শরীরে শর্ষের তেল মেখে নিয়েছিলাম। ভাবতে পারেন, ভোরের কনকনে শীতে সারা শরীরে শর্ষের তেল মেখে পানিতে নেমেছিলাম।’ সেদিন আঁচল শুটিং না করলে ফেঁসে যেতেন পরিচালক।