আজকে দ্বিতীয় দিনের মত চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ও খিরাম এলাকায় সরকারি নির্দেশনা না মেনে গড়ে ওঠা ৫ টি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয় সাথে আরো দুটি ইটভাটাকে ৬ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রামের সকল অবৈধ ইটভাটায় এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আজ (২৯ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ও খিরাম এলাকায় সরকারি নির্দেশনা না মেনে গড়ে ওঠা ৫ টি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোঃ আফজালুর ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ, ফটিকছড়ি থানা পুলিশ, র্যাব-৭ ও ফায়ার সার্ভিসের একট দল অংশ নেন।
উচ্ছেদকৃত ইটভাটাগুলো হল ফটিকছড়ি উপজেলার খিরামের মের্সাস খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং, মেহেরুজ্জাহা রহঃ ব্রিকস, মেসার্স এবি ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং,শাহ আমানত ব্রিকস, নেক্সাস ব্রিকস। উল্লিখিত ব্রিকস ফিল্ডগুলোর কাঁচা ইট, চুলা ও চিমনি ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ( নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী মেসার্স এ বি ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা ও মেসার্স শাহ আমানত ব্রিকস ফিল্ডকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান জানান, উচ্ছেদকৃত ইট ভাটা গুলোয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রদত্ত লাইসেন্স নেই, নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র বা অবস্থান নির্ধারণের ছাড়পত্র। সেইসাথে বন বিভাগের ছাড়পত্র ও বিএসটিআইয়ের মানপত্র নেই। ইটভাটাগুলো সরকারী অনুমোদন না নিয়ে অবৈধ ভাবে গরে উঠেছে । কৃষি জমি ও পাহাড় থেকে মাটি নিয়ে ইট উৎপাদিত করে আসছিল। কোন কোন ইটভাটার পঞ্চাশ থেকে একশ মিটারের মাঝেই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আজকের অভিযানে ৫টি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয় এবং দুটি ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোঃ আফজালুর ইসলাম জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম জুড়ে এ অভিযান চলবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী ফটিকছড়ি উপজেলায় ৪১ টি ইটভাটা অবৈধ আছে। ফলে পর্যায়ক্রমে সবগুলো ইটভাটা উচ্ছেদ করা হবে।