চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) স্টাফ কোয়ার্টারের সংস্কার কাজ যেনতেনভাবে করা এবং এসও এসডিও এবং ঠিকাদার কর্তৃক বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
বিগত ৭ ফেব্রুয়ারি এব্যাপারে চট্টগ্রাম গণপূর্ত সার্কেল-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন সালমা আক্তার নামের এক সিনিয়র নার্স। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী জনসেবায় ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে কর্মরত সালমা আক্তার তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, স্টাফ কোয়াটারের তার দুই রুমের বাসাটির ছাদের আস্তর খসে পড়ছে। চারপাশের দরজা জানালা ভাঙ্গা। ২০১৯ সালের শেষের দিকে দরজা-জানালার চৌকাঠ পোকায় খেয়ে নষ্ট হয়ে যায়। গত শীত মৌসুমে মানবেতরভাবে নিরুপায় হয়ে তিনি পরিবারের লোকজন নিয়ে বসবাস করেছেন। খোলা ঘরে শিশুরা শীতে ভোগেছেন। গত এক বছর যাবত তাঁর বাসায় দরজা ছিল না। ফলে ছোটখাট চুরিসহ নানা নিরাপত্তাহীনয় ছিলেন।
সালমা আক্তার বলেন, এব্যাপারে এসও এবং এসডিও-কে অবহিত করলে তারা নানাভাবে হয়রানি করে। এদিকে গত ২০২০ সালের ৯ আগষ্ট স্টাফ কোয়াটারের মেরামত কাজ জরুরী ভিত্তিতে সম্পন্ন করার জন্য গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে একপত্রে মেডিকেলের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ তাহমিনা শবনম সোবহান অনুরোধ জানান। এরপর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে যেনতেনভাবে ঘরের সংস্কার কাজ শুরু করেন। সালমা আক্তারের অভিযোগ, মেডিকেল স্টাফ কোয়াটার (বিল্ডিং নং-১০/০২) এ মেরামত কাজে কাঁচা চৌকাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। দরজার চৌকাঠ ঠিকমতো লাগানো হয়নি। দরজার টেড়া লাগানো হয়েছে ফাঁকা করে। বারান্দার গ্রীল নেট) এবং সানসেট ঠিকমতো লাগানো হয়নি। মেরামত কাজে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করা হয়েছে। এব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মনির উর জমানের সঙ্গে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ##