নগরীর বন্দর থানা এলাকার ফুটপাতে পাগলী জন্ম দিল পিতৃহীন এ নবজাতক। কোন এক নরপিচাশের বিকৃত যৌন লালসার স্বীকার এক অসহায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর গর্ভে আসে এই নিস্পাপ শিশুটি ! কিন্তু পাগলী জানেনা কে শিশুটির বাবা? পাগলীটা মা হয়েছে, বাবা হয়নি কেউ! নগরীর বন্দর থানা এলাকার আর্মি এম্বারকেশন এর সামনে ফুটপাতে পরে থাকা মুমূর্ষ অবস্থায় নবজাতক শিশু ও তার গর্ভধারিনী মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ ) সকাল ০৮.০০ টার সময় বন্দর থানা এলাকার আর্মি এম্বারকেশন এর সামনে ফুটপাত থেকে নবজাতক শিশু ও তার মাকে উদ্ধার করে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
উদ্ধারকারী এএসআই মোঃ আমান উল্ল্যাহ বলেন, সকাল ৮ টার দিকে ডিউটিকালীন সময়ে বন্দর থানা এলাকার আর্মি এম্বারকেশনের সামনে ফুটপাতে পরে থাকা মুমূর্ষ অবস্থায় নবজাতক শিশু ও তার গর্ভধারিনী মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে উদ্ধার করি পরে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এর সার্বিক নির্দেশনায় টিম বন্দর থানার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মুমূর্ষ মা ও নবজাতক শিশুকে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বর্তমানে উদ্ধারকৃত নবজাতক শিশু ও তার মা আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। মহান সৃষ্টি কর্তার কৃপায় মা ও শিশু দুইজনই এখন সুস্থ আছে। নবজাতক শিশুটি এবং তার অসহায় মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, হতভাগ্য নবজাতক শিশুটির এই পৃথিবীতে আসা ছিল অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। কোন এক নরপিচাশ তার বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ করতে গিয়েই এক অসহায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর গর্ভে আসে এই অবুজ ও নিস্পাপ শিশুটি। আসুন আমরা সবাই এই শিশুটির দিকে মানবতার হাত বাড়াই। ঘৃনা-ভৎসনা বিহীন আদর স্নেহ আর ভালবাসায় ঘেরা সুন্দর এক পৃথিবীতে এই হতভাগ্য শিশুটিকে বেড় উঠার সুযোগ করে দিই। মানবতার জয় হোক।