চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে কষ্টদায়ক হচ্ছে বিদায়। যেকোন মানুষের ভালো কাজ তাকে বাঁচিয়ে রাখে। যে কেউ বৈষয়িকভাবে কি পেল সেটা বড় কথা নয়। তিনি যে কাজ করেছেন তাতে দেশ জাতি কতটা উপকৃত হলো সেটাই হলো মুখ্য বিষয়। কর্ম জীবন শেষে অবসরকালীন সময়ে সুস্থভাবে জীবন অতিবাহিত করাটা একটা কঠিন কাজ ও ভাগ্যের বিষয়। সুস্থ ও সম্মান নিয়ে বিদায় নেওয়া একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরম প্রাপ্তি।
গতকাল (৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইগারপাসস্থ চসিক সম্মেলন কক্ষে চসিকের সহকারি প্রকৌশলী মজিবুল হায়দার ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী সোমনাথ দাশগুপ্ত রাজু অবসর উত্তর বিদায় সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি প্রকৌশলীদের আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সহিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর কথা স্মরণ করিয়ে দেন। স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য মেয়র সকলের প্রতি আহŸান জানান।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, আশিকুল ইসলাম, উপ-সহকারি প্রকৌশলী ফরিদ আহমদ, চন্দন দাশ। সংবর্ধিত প্রকৌশলী মজিবুল হায়দার ও সোমনাথ দাশগুপ্ত। এতে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর ড. নেছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, নুরুল আলম, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, সিবিএর সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী জাহেদুল আলমসহ প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্পোরেশনে কর্মরতদের শুদ্ধাচারের মাধ্যমে নগরবাসীকে সেবা করার আহŸান জানান।
বিশ্বব্যাপী নীতিবাগিশ হিসেবে নিজেদের জাহির করে যুক্তরাজ্য–যুক্তরাষ্ট্রের মতো পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো। এশিয়া–আফ্রিকার দেশগুলোর প্রতিটি অভ্যন্তরীণ বিষয়েও নাক গলায় তারা। অথচ, নিজেদের বেলায় নীতি–নৈতিকতার বালাই নেই তাদের। কিন্তু কোনো দেশের সরকার যদি তাদের কথামতো না চলে, তাহলে সেই দেশের সরকার বদলানোর মিশনে নামে তারা। তখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার অজুহাতে কিছু জনপ্রিয় বুলি ছড়িয়ে সেই দেশকে বিশ্বব্যাপী নাজেহাল করতে শুরু করে পশ্চিমা বিশ্বের মোড়লেরা। অথচ, যেসব দেশ তাদের স্বার্থ রক্ষা করে, তাদের বেলায় পশ্চিমাদের অবস্থান ঠিক উল্টো। এদের এই দ্বিচারিতার শিকার বাংলাদেশও।