চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বাঙালী জাতিসত্তার উজ্জ্বল হীরকখন্ড। একাত্তরের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী সেনা বাহিনী দ্বারা সংগঠিত ইতিহাসের জঘন্যতম ও বর্বরতার নজির বিহীন গণহত্যাকান্ড শুরুর আগেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণার আনুষ্ঠানিক বার্তাটি চট্টগ্রামে এসে পৌঁছে। এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ভিত্তি সোপান। এই ভিত্তি সোপান রচনায় যে বিশাল ত্যাগ ও আত্মবলিদান হয়েছে সেই পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা অর্জিত হলে ভৌগলিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তিতে পরিপূর্ণতা পাবে দেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে মেয়র এসব কথা বলেন।
নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, আফরোজা জহুর, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, শাহেদ ইকবাল বাবু, শৈবাল দাশ সুমন, আবদুস সালাম মাসুম, মোঃ ইসমাইল, নরুল আমিন, মোঃ আতাউল্লাহ চোধুরী, আবদুল মান্নান, ফেরদৌস আরা মুন্নি, রুমকী সেনগুপ্ত, তছলিমা বেগম, হুরে আরা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, আঞ্চলিক প্রধান আফিয় আখতার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, শিক্ষা কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেট মরুফা বেগম নেলী, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, জসিম উদ্দীন চৌধুরী অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, সিবিএ নেতা ফরিদ আহমেদ, মুজিবুর রহমান, শহিদুল আলম প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, সুবর্ণজয়ন্তীর এই মহেন্দ্রক্ষণে আমাদের শপথ হোক মুক্তিযুদ্ধের আর্দশ ধারণ করে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিরের ক্ষুধা-দারিদ্র-নিরক্ষতামুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলব। দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভোর ৬টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ সকাল ৮টায় চসিকের বাটালি হিলস্থ নগর ভবনের সম্মুখ চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন। চসিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসায় মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত। মন্দির, প্যাগোডা ও গীর্র্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয় শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায়। এই জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে চসিকের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে ১০ দিন ব্যাপী আলোক সজ্জ্বা। হাসপাতাল সমূহে সকল বর্হিবিভাগে ও ওয়ার্ড স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফ্রি চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়।