বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে হামলায় আহত হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক এবং কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন।
হামলার সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা এবং এক কর্মচারীকে আটক করে ইবি থানায় সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন- কর্মকর্তা মানজারে আলম মিরু ও কর্মচারী নুরুজ্জামান। মিরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপনা শাখার উপ রেজিস্ট্রার এবং নুরুজ্জামান একই দপ্তরের থোক (চুক্তিভিত্তিক) বরাদ্দকৃত কর্মচারী। হামলার সঙ্গে জড়িত বহিরাগত আলী কদর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আলী কদর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন চাঁদপুর ইউনিয়নের নাবদিয়া গ্রামের মৃত খয়বার আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মানজারে আলম, নুরুজ্জামান, আলী কদর জিয়া পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার কমিটির অনুমোদনের স্বাক্ষর নিতে ডরমেটরিতে অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনের রুমের (৪০৯ নং রুম) দিকে যান। এসময় ড. এমতাজ হোসেন ঘুমিয়ে ছিলেন। মানজারে আলম মিরু দরজায় নক করলে তিনি দরজা খুলে তাদের পরে আসতে বলেন। এ নিয়ে ড. এমতাজের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মিরু, নুরুজ্জামান, আলী কদর উত্তোজিত হয়ে ড. এমতাজকে মারধর করেন।
মারধরের আওয়াজ শুনে ডরমেটরিতে থাকা অন্যান্য শিক্ষক কর্মকর্তারা এগিয়ে গিয়ে মিরু এবং নুরুজ্জামানকে আটক করেন। পরে উপস্থিত শিক্ষক-কর্মকর্তারা হামলাকারীদের মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে সোপর্দ করেন।
প্রক্টরিয়াল বডি তাদের আটক করে চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ইবি থানায় সোপর্দ করেন।
এদিকে শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় মানজারে আলম মিরুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি এ ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা নিন্দা জানিয়েছেন।
জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনের উপর হামলা।
