চট্টগ্রাম খুলশী থানার আওতাধীন ৫ শত দরিদ্র পরিবার পেল সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের পাঠানো খাদ্য ঝুড়ি। কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান এইড এন্ড রিলিফ সেন্টার কর্তৃক দরিদ্র জনগোষ্ঠী জন্য পাঠানো এ খাদ্যঝুড়ি।
গতকাল ১০মে সোমবার মহামারী করোনার লকডাউনে এবং এবাদতের মাস রমজানে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্ননে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সৌদি সরকার। কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশে ৮০ হাজার খাদ্যঝুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের প্রতিনিধিদল উপস্থিত থেকে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। নগরীর খুলশী কনভেনশন হলে ৫শ জনগোষ্ঠীর হাতে এ খাদ্য ঝুড়ি তুলে দেয়া হয়। খাদ্যঝুড়ি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আল মানাহিল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেলাল বিন জমির উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার উত্তর মোখলেসুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সার্বিক তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিউনিটি পুলিশের সদস্য সচিব অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন । উপ পুলিশ কমিশনার উত্তর মোখলেসুর রহমান বলেন, লকডাউনের এ সময়েও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে সৌদি সরকার বাংলাদেশের পাশ্বে দাঁড়িয়েছেন । খাদ্যসহায়তা পেয়ে অসহায় লোকজন তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারবে। এ সময়ে বৃত্তবানদের সবার উচিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাহলে আমরা সরকারের ভিশন অর্জন করতে সক্ষম হবো। মানবতার ফেরিওয়ালা অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন বক্তবে বলেন – বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে কাপছে। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য । সাধারণ ও হত দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর মিশন আজীবন চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাব । দেশের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে কক্সবাজার, ঢাকা, নীলফামারী, যশোর, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে এসব খাবার দেয়া হয়েছে। প্রতি পরিবারে চারজন হিসেবে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ এতে উপকার পেয়েছেন। পরিবারের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় তেল, চিনি,চালসহ বিভিন্ন উপকরণ আছে এই খাদ্য ঝুড়িতে। এতে মোট ২৫ কেজি খাদ্যদ্রব্য রয়েছে।