“আমরা ঐক্যবদ্ধ বন্ধুত্বের অনির্বাণ বন্ধনে এই বন্ধন রবে অটুট বন্ধুর প্রয়োজনে” এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে “৯১ চট্টগ্রাম বিভাগ” বন্ধুদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী,পবিত্র ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
গতকাল ২২ শে এপ্রিল, ২০ রমজান (শুক্রবার) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এলাকার অভিজাত রেষ্টুরেন্ট কিচেনের হলরুমে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিল ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। দোয়া মাহফিলে মাওলানা সাহেব বলেন, রোজাদার বান্দারা নানারকম মজাদার খাবার সামনে নিয়ে ইফতারের জন্য অপেক্ষার বিধান ইসলামের অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য। এর মাধ্যমে বান্দার ভ্রাতৃত্ববোধ, ভালোবাসা এবং আধ্যাত্মিক ভাবের যে প্রতিফলন ঘটে, তা সত্যিই অতুলনীয়।ইফতারের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি বান্দার ভালোবাসা ও আনুগত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। বান্দার হৃদয় ইফতারের স্পর্শে অনুভব করে এক স্বর্গীয় আবেশ।
“৯১ বন্ধু পরিবারের” যে সকল বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা মারা গেছেন তাদের জন্য ও ৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে যে সকল মানুষ মারা গেছেন তাদের সকলের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়। দোয়া করা হয় সকল সুস্থ ও অসুস্থ বন্ধু ও বন্ধুর পরিবারের জন্য।
দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত শেষে ইফতার গ্রহণের মাধ্যমে বন্ধুদের মাঝে পবিত্রতা ও ভালোবাসার আমেজে এক অনাবিল আনন্দ ঘন মুহূর্তে সৃষ্টি হয়।সকলে হারিয়ে যাই অন্য এক স্বর্গীয় জগতে।
ইফতার শেষে আড্ডারত আনন্দ বিভোর বন্ধুরা বলেন, বর্তমানে আমরা অনেকটা যান্ত্রিক জীবনযাপন করে থাকি। সবসময় আবেগগুলো চেপে রাখতে রাখতে আমাদের মধ্যে আবেগ প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছে। কিন্তু বন্ধুর কল্যাণে আমাদের মধ্যে এখনও মানুষসত্ত্বা বেঁচে আছে। বন্ধুই একমাত্র মানুষ, যার সামনে মন খুলে আমরা আবেগ প্রকাশ করতে পারি।
প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী,পবিত্র ইফতার ও দোয়া মাহফিল উপলক্ষে এই ধরনের একটি সুন্দর অনাবিল পরিবেশে মনোমুগ্ধকর আয়োজনের জন্য বন্ধু আনিস, জাহানারা বেগম বেবি, জসিমসহ এডমিন প্যানেলের সকল বন্ধুদের ধন্যবাদ জানানো হয়।
সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে ক্ষনিকের জন্য স্বপ্নের রাজ্যে হারিয়ে দিতে সহায়তা করায় আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বন্ধু ওসমান, গোলাম ছরওয়ার, খাদিজা, দিলদার, সাদেক, সুজন দেব, মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ মঈনউদ্দীন, তারেকুর রহমানসহ উপস্থিত সকল বন্ধুরা।
চট্টগ্রাম বিভাগ ও সারা বাংলাদেশ থেকে যেসকর বন্ধুরা উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও স্বার্থক করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানান বন্ধু আনিস, জাহনারা বেগম ও জসিম।
অনুষ্ঠান শেষে বন্ধ জসিম বলেন, ঈদের পরে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য গরুর মেজবানের মাধ্যমে মনোরম পরিবেশে ঈদ পুনর্মিলনী আরো ঝাঁক ঝমক ভাবে আয়োজন করা হবে।