নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দক্ষিণ ফটিকছড়ির ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফারুক-ই-আজম ইসলামিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার হলরুম কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম সিডিএ সচিব আনোয়ার পাশা বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ভিশন ৪১ বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর পর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কোন বিকল্প নেই। আর বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর উপযোগী করে গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে বখতপুর তথা ফটিকছড়ির কৃতি সন্তান বর্তমান সিডিএ’র সচিব আনোয়ার পাসার সম্মানে ও দক্ষিণ ফটিকছড়িতে একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব শীর্ষক বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত (১২ জুলাই) মঙ্গলবা বিকাল চার ঘটিকার সময় নানুপুর লায়লা কবির ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর মোরশেদের সঞ্চালনায়, সাবেক চট্টগ্রাম জিপিও সিবিএ নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম সোহরাব হোসেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মনজুর হাসান, সরকারি সিটি কলেজ রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আকরাম হোসেন, এনজিও সংস্থা বিটার বিভাগীয় কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ফারুক আহমেদ, ফটিকছড়ির রাজপথ কাঁপানো সাবেক ছাত্রনেতা আব্বাস উদ্দিন বাদল, সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ ইসহাক, সমাজ কর্মী মোহাম্মদ আনোয়ার, দৈনিক বর্তমান কথার ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ গোলাম ছরওয়ার, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ রায়হান রুপু, নুুরে মদিনা হজ্জ কাফেলার স্বত্বাধিকারী মৌলানা জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, মোঃ রাশেদুল আলম বাবু, মোহাম্মদ ইকবাল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শ্রম শক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব যে অপরিসীম তা আমরা অনেক আগে থেকেই অনুভব করতে সক্ষম হয়েছি। এ প্রেক্ষাপটে আজকের আয়োজন খুবই গুরুত্ব বহন করে। যেহেতু অত্র এলাকার অধিকাংশ যুবক বিদেশগামী, সেহেতু তাদেরকে দক্ষ জনশক্তি হিসাবে তৈরি করার নিমিত্তে একটি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ দক্ষিণ ফটিকছড়িতে অতীব প্রয়োজন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফটিকছড়ি থেকে গহিরা, খিরাম থেকে শাহজাহান শাহ মাজার গেইট বা হাটহাজারী উপজেলা পর্যন্ত এলাকার বিদেশগামী যুবসমাজ উপকৃত হবে।
তারা আরো বলেন, এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। এ লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমাদেরকে উদ্যোগী হতে হবে, তবেই দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক যুগের চাহিদা ও প্রয়োজনকে সামনে রেখে স্বল্পশিক্ষিত লোকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত ও টেকনিক্যাল শিক্ষা দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
বক্তারা বলেন, দেশের চাহিদা মেটানো ও বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিতে ব্যাপক কারিগরি শিক্ষা প্রয়োজন। সরকার এ ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগের দিকে হাঁটছে বলেই আমাদের মনে হয়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষার চাহিদার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে অত্র এলাকায় একটি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুবকদের দক্ষ জন শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। কেননা আমাদের জনশক্তি বিশাল। এখানে বাইরের বাজার না ধরতে পারলে আমাদের পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। আমরা অদক্ষ শ্রমিক রপ্তানিতেই সীমাবদ্ধ থাকব। তাছাড়া যে ভাবে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তা ধরে রাখতেও দক্ষ জনশক্তির কোন বিকল্প নেই।