রীয়া বাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম হামজারবাগ এলাকার আল নূর চক্ষু হাসপাতাল গলির বজল সওদাগরের বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের মহিলাসহ ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলেন মোছেনা খাতুন (৬০), মো: মাহাবুর রহমান (৪৮), মোস্তাফিজুর রহমান (৪৪) ডলি আকতার (৩৪) ও মর্জিনা বেগম (৩০)।
গতকাল ১৮ জুলাই সোমবার দুপুরের দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ একই এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ফয়েজ আহম্মদ (৬০), আবুল বশর (৫২)সহ অজ্ঞাত নামা ৪/ ৫ জন মিলে এ হামলা চালায়।
হামলাকারীরা নিজেদেরকে আরশাদুল আলম বাচ্চুর অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মো: মাহাবুর রহমানের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আমিন জুটমিলস হামজারবাগ আল নূর চক্ষু হাসপাতাল গলির বজল সওদাগর বাড়ীর মৃত আবু তাহেরর পুত্র মো: মাহাবুর রহমানের বসত বাড়িতে একদল সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। এ সময় তার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় বলে মো: মাহাবুর রহমান দাবি করেন।
এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা মো: মাহাবুর রহমান ও বাড়ির মহিলাসহ ৫ জনকে মরাধর করে।
৯৯৯ খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাই। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরে, ভূক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ করতে গেলে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে থানায় মামলা নেননি বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন, ঘটনার সাথে সাথে ৯৯৯ তে কল দিলেও অনেক পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও করেছে।
এ দিকে মো: মাহাবুর রহমান জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি এ বাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তার জায়গায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করেন। তা দিতে অস্বীকার করলে জোরপূর্বক দখলের হুমকি দিয়ে আসছিল অনেক দিন থেকে। যা স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রশাসনের কাছে অবগত করেন বলে তিনি জানান।
মাহাবুর রহমান থানায় মামলা করতে গেলে জমিজমা সংক্রান্ত কোন মামলা থানায় নেয়া হয় না বলে ডিউটি অফিসার জানান। কিন্তু মাহাবুর রহমান জানান এটা জমি জমা সংক্রান্ত মামলা না এটি হামলার মামলা এটা নেবেন না কেন।
ঘটনার ব্যাপারে জানার জন্য পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে ফয়েজ আহমদের নিকট জানতে চাইল তিনি ফোন রিসিভ করেননি।