মা-বাবা, ভাই,বোন, অাত্বীয়-স্বজন সহ সকলে মিলে পরিবার। পারিবারিক ঐতিহ্য, বংশীয় মর্যাদা ও পরস্পর মুল্যবোধের মাধ্যমে পারিবারিক সম্মান বৃদ্বি পায়।
একটা পরিবারে মা,বাবা বৃদ্ব হলে, ছেলে বিয়ে করলে, মেয়েকে বিয়ে দিলে বুঝা যায় পারিবারিক ভারসাম্য বা ভারসাম্যহীনতা।
এক্বেত্রে মুল বিষয়টা হল সন্তান কর্তৃক বাবা, মায়ের অবাধ্যতা। যার কারণে পারিবারিক ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়।
কথার অমিল, চাওয়া-পাওয়ার গরমিল, অন্যকারো প্ররোচনা, বড়-ছোট অাদবের অভাব, গোড়ামি, উগ্রতা, পরস্পর দোষারোপ প্রভৃতি কারণে সংসারে প্যাচঁ লেগে যায়। অনেক পরিবারে দেখা যায় তিন চার ভাই এর মধ্যে যদি সবাই বিয়ে করে মা,বাবা, ভাই,বোন এর সাথে নানা কারণে, বউ এর কারণে, সংসারের খরচের হিসাব, পরিস্হিতির কারণে ভুল বুঝাবুঝি, রাগ-অভিমান, খারাপ ব্যবহার প্রভৃতি কারণে অমিল ও বিচ্ছেদ সৃস্টি হয়।
যদি এই বিরোধ মা -বাবা এর সাথে বউের হয় তাহলে অধিকাংশ ছেলে নিজের জন্মদাতা বাবা-মাকে বাদ দিয়ে শুধু বউয়ের পক্ষ নিয়ে সময় সুযোগে তাদের কাছ থেকো অালাদা হয়ে নিজেরা অালাদাভাবে সংসার করে। এমনকি কি এই অবাধ্য সন্তানটি বউ এর মন রক্ষা করতে গিয়ে ঘর ছেড়ে অালাদা ঘর নিয়ে শহরে চলে যায়,অন্য কোথাও চলে যায়।
বর্তমান সরকার মা- বাবার ভরণ পোষণ এর দায়িত্ব না নিলে মামলার বিধান করছে যার কারণে জেল জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু হাজার হাজার অবহেলিত মা আছে যারা শত সমস্যায় নিজের ছেলেকে বিপদে ফেলতে চায় না তারা নিজের সন্তানকে সঠিক পথে অানতে চায়। কিন্তুু বউ এর কেত্রে গিয়ে অনেক মানুষ একটু বা বেশী বিরোধ, বিচ্ছেদ হলে অনেক সময় মামলার শিকার হয় যার অধিকাংশ বুয়া এবং তা তালাকের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়ে যায়।
বউকে একতরফা ভালবেসে নিজের মা- বাবাকে হেয় করে, বেযাদবি করে অনেকে জীবনে অনেক অভিশাপ, লানত এ পতিত হয়েছে। যার কোটি কোটি উদাহরণ ও ইতিহাস আছে।
মা-বাবার সাথে এ ধরণের খারাপ ব্যবহার, দুরত্ব, বিচ্ছেদ কোরঅান,হাদিস,পৃথিবীর কোন বইপত্র, কোর্ট,কাসারি, কোন ধর্ম, কোন নীতি-অাদর্শবান ভাল মানুষ এটা সমর্থন করে না,করবে না।
মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত- এই কথার তাৎপর্য খুবই ব্যাপক যার সহজ অর্থ হল সন্তান যত বড় হউক সে সব দিক দিয়ে মায়ের কাছে ছোট।
সংসার ও পারিবারিক শান্তির জন্য তাই সকলকে বাবা- মাকে ভালবাসতে হবে এবং তাদের কথামত সঠিকভাবে জীবন পরিচালনা করতে হবে।
★ লেখক : নুর মোহাম্মদ,
রাউজান, চট্টগ্রাম।