আন্তর্জাতিক মৃত্যুদণ্ড রহিত দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার উদ্যোগে ১০ অক্টোবর বিকেল পাঁচটায়, চট্টগ্রাম কোট হিলে সোনালী ব্যাংকের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান অতিথি ছিলেন, এডভোকেট মোস্তফা নুর তিনি বলেন,যে কোনো অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারেনা। অপরাধি সৃষ্টির জন্যে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দায়ী। বৈষম্য মুক্ত রাষ্ট্র ও সমাজ চাই।মৃত্যু একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। জন্ম নিলে মরতে হবেই। কিন্তু মৃত্যুদন্ড মানব সৃষ্ট এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অধঃপতিত শাস্তি। তথাপি মৃত্যুদন্ডাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন। বর্তমান বিশ্বের অর্ধশতকেরও বেশি রাষ্ট্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রাষ্ট্র কর্তৃক সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান হিসেবে মৃত্যুদন্ডাদেশের আইন বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই বিরাজমান। ১৯৪৮ সালে সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর মাত্র ৮টি দেশ অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের বিধানকে বাতিল করা হয়।এখন ৫৫ টি রাষ্ট্রের মৃত্যু দন্ড রহিত করা আইন করেছে,মৃত্যু দন্ড আইন থাকার পরও এই আইনটি চর্চা করছেন না। এশিয়ার কিছু দুর্বল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র এখনো মৃত্তদণ্ড চর্চা করে আসছে যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
ট্রাস্ট অব হিউম্যান রাইটস্ বাংলাদেশ এর মহাসচিব আবদুল্লাহ মজুমদারের সভাপতিত্বে বক্তব্যে, মানবাধিকার কর্মীওচমান জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান, নুরুজ্জামান খোকন,মোহাম্মদ আবু জাফর, এডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম, এডভোকেট মোঃ মহসিনএড হাসিনা বেগম,এড জান্নাতুল ফেরদৌস, মোঃ আলী, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মোবারক হোসেন।
চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মৃত্যুদন্ড বিরোধী দিবস উপলক্ষে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
