নুর মোহাম্মদ, বিশেষ প্রতিবেদক- স্বাধীনতার ৫২ বছরে ও মুক্তিযোদ্বার স্বীকৃতি পাননি কচুখাইনের সামশুল আলম
কয়েক যুগ আন্দোলন ও চেস্টার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযোদ্বারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের উত্তর কচুখাইন গ্রামের খলীফা পাড়ার একজন নিভৃতচারী, অবহেলিত মুক্তিযোদ্বার নাম মোহাম্মদ সামশুল আলম। তার পিতার আনু মিয়া সুবেদার। তাহার পিতা সামরিক বাহিনীর অধীনস্হ ছিলেন।
কিন্তু সামশুল আলম জানান স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে ও তিনি মুক্তিযোদ্বার কোন রকম স্বীকৃতি পাননি। এ বিষয়ে তিনি কোনদিন কারো সাথে যোগাযোগ ও করেননি।
বর্তমানে তিনি সহায় সম্বলহীন শুধু নিজ স্ত্রী নিয়ে গ্রামের একটি টিনের ছোট ঘরে অনেক অভাব অনটনের মাঝে বসবাস করছেন। সংসারে তাঁর একটি ছেলে ছিল হারিয়ে গেছে গত সাত বছর আগে। তিনটা মেয়ে ছিল অনেক কস্টে ও মানুষের সহযোগীতায় তাদের পাত্রস্হ করেছেন।
তিনি দেওয়ানজি ঘাটের চিত্তরঞ্জন দাশ মাধ্বমে মুক্তিযোদ্বের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
তার পিতা আনু মিয়া সুবেদার ও একজন মুক্তিযোদ্বা ছিলেন।
আনু মিয়া ১৯৯১ সালে ইন্তেকাল করেন।
সামশুল আলম পশ্চিম কচুখাইন গ্রামের আহমদ মিয়া সওদাগরের উঠানে ৬ মাস ম্যান্টেল লাইট জ্বালানো অবস্হয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সে টিমে তাঁর সাথে আরো ৩০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তাদের অনেকে মুক্তিযুদ্ব অংশগ্রহণ করে ব্যাপক অবদান রাখেন।
উল্লেখ্য তাহার পিতা আনু মিয়া সুবেদার তাদের সহ আরো অনেক টিমের প্রশিক্ষক ছিলেন। সামশুল আলম কালুরঘাট, দেওয়ানজীঘাট, আবুরখীল, কেরানীহাট, কচুখাইন সহ বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্বের যাবতীয় কাজ যেমন বৈঠক, অস্ত্র পরিবহন, খাবার সরবরাহ, শত্রুদের পর্যবেক্ষণ ও যুদ্ব সহ নানাবিষয়ে ভূমিকা রাখেন।
তার প্রতিবেশী সমাজসেবক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, ” তিনি ও তার পিতা মুক্তিযোদ্বের অনেক বিষয়ে সক্রিয় দায়িত্বপালন করেছেন। কর্তৃপক্ষের কাছে তাহাকে মূল্যায়ন, মুক্তিযোদ্বার স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদানের আন্তরিক দাবী জানাচ্ছি। ”
সামশুল আলমের বর্তমান বয়স ৭৪ বছর। মুক্তিযোদ্বকালীন বয়স ছিল ২২ বছর। বর্তমানে এই বয়সে তাকে অনেক কস্ট, পরিশ্রমে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। তিনি অল্পশিক্ষিত তাই কিভাবে কি করতে হবে তা জানেন না। তিনি চান রাস্ট্রীয়ভাবে তাকে প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন ও সহযোগীতা প্রদান করা হউক।
★ নুর মোহাম্মদ,
রাউজান।