চট্টগ্রামে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের এমডির পদত্যাগের দাবিতে সিবিএ,র এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন বক্তারা।
আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের এমডির পদত্যাগের দাবিতে সিবিএ,র এক বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে সিবিএ,র সভাপতি মোহাম্মদ শাহিজুল আলম বলেন, দুর্নীতিবাজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ তহিদুজ্জামানের নিয়োগ অবৈধ, সুতরাং তার সকল কার্যক্রমও হবে অবৈধ এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির মাধ্যমে কখনো কোনো ভালো কাজ হতে পারে না। তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্নীতির আকড়ায় পরিণত করেছেন। অবিলম্বে তিনি পদত্যাগ না করলে, প্রগতি ইন্ড্রাস্টিজ কে দুর্নীতিমুক্ত করতে আমরা আগামী সোমবার থেকে কঠোর আন্দোলনে যাব।
সাধারণ সম্পাদক প্রেমনাথ দাশ বলেন, টেন্ডার ছাড়া মালামাল কেনা, নিয়োগে অস্বচ্ছতা, অনুমোদনহীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া, প্রকল্পের কাজ না করেই অর্থব্যয়, সরকারি তেল ব্যবহারে অনিয়মসহ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য পরিণত করেছে তিনি প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজকে। কাজেই অবৈধ এমডিকে যত দ্রুত সম্ভব পদত্যাগ করতে হবে।
উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা হলেন, সহ-সভাপতি মো. আবুল হাশেম, নজরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিন উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক জনি মুত্সুদ্দি বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক মঞ্জিল হোসেন ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন।
তারা বলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজে যাবতীয় অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছেন। যেখানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সেইখানে তিনি প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন যাপ্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন কাজে অনিয়ম করাটা যেন ‘স্থায়ী সংস্কৃতি’তে পরিণত হয়েছে।
এসব অনিয়মের নেপথ্য নায়ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তৌহিদুজ্জমান।
তাদের মতে, সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যয়ে এসব অনিয়ম বিভিন্ন সময়ে লিখিতভাবে জানানো হলেও অদ্যাবধি নেওয়া হয়নি কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা। উলটো একরকম নির্বিঘ্নে চলছে সব অনিয়ম। তাতে নির্বিকার কর্তৃপক্ষ।
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে মোহাম্মদ তহিদুজ্জামান এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় সিবিএ নেতারা আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমি প্রগতি ইন্ড্রাস্টিকে লস প্রতিষ্ঠান থেকে খরচ সাশ্রয় করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছি। যাহা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।