চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ১৬ আসনের আওয়ামী লীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীদের পরিচিতি জনসভা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জনসভা শুরুর পূর্বে দুপুর ২টা থেকে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেন ১৬ আসনের আওয়ামী লীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থক, বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের পরিচিতি জনসভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.সালাম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
পরিচিতি জনসভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জনসভা চলাকালীন সময়ে সুধাসদন থেকে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. হাছান মাহমুদ ও মইনুদ্দীন খান বাদলের সাথে। মইনুদ্দীন খান বাদল প্রধানমন্ত্রীকে চট্টগ্রামের ভাষায় বলেন “১০ বছর আগে আরা আছিলাম ফন্নির পোয়া একন আরা অইলাম রাজার পোয়া” উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন বিএনপি জামাত সরকার বিদেশীদের কাছে আমাদেরকে মিছকিন বানিয়ে রেখেছিল অতচ বাংলাদেশ পৃথিবীতে এখন উন্নয়নের রোড মডেল।
অতপর পরিচিতি জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পূর্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংগ্রাম, ঐতিহ্য ও আওয়ামী লীগের আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম বাসীর জন্য করা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করেন।
এরপর তিনি ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে আগামী ৩০ তারিখ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম ১৬ আসনের আওয়ামী লীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে পরিচয় হওয়া প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের প্রার্থী দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনের প্রার্থী মইনুদ্দীন খান বাদল, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর) আসনের প্রার্থী ডা. আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে প্রার্থী এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসনের প্রার্থী আবু রেজা নদভী ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান,
প্রার্থীদের পরিচয় শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়, আর চলে গেলে থমকে যায়। চট্টগ্রাম অনেক আবহেলিত ছিল এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে এবং আগামীতে আরো উন্নয়ন হবে। চট্টগ্রাম তথা দেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ‘৩০ তারিখের নির্বাচন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন। বিএনপি জামাত সরকার দেশকে জঙ্গীরাষ্ট্রে পরিণত করেছিল আমরা ক্ষমতায় এসে দেশকে জঙ্গিমুক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলছি। আজকে বাংলাদেশ ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত হতে চলেছে। আমি আপনাদের কাছে নৌকায় ভোট চাইছি। আপনারা ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে চট্টগ্রামের ১৬টি আসন আমাকে উপহার দেবেন, যাতে করে আমরা উন্নয়নের এই গতিধারা ধরে রাখতে পারি।’
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীসহ আরো অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামের লালদীঘিতে প্রার্থী পরিচিতি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
