রোযা আল্লাহর সহিত সম্বন্ধযুক্ত হওয়ার কারণ।
ان الله عز وجل يقول “ان الصَّومُ لي وأنا أجزي بِهِ.
(رواه مسلم : كتاب الصوم ، صحيح بخاري : كتاب الوحيد: مسند احمد )
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা বলেন “কেবল আমার উদ্দেশ্যেই রোযা রাখা হয় এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব।” (সহিহ বুখারী, মুসলিম ও মুসনাদে আহমদ)
সমগ্র বিশ্বজগত আল্লাহর অধিকারভুক্ত হলেও কা’বা শরীফকে যেমন তাঁহার গৃহ বলা হয়েছে, তদ্রূপ সমস্ত ইবাদত একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকলেও রোযাকে তাঁহার নিজের বলে অভিহিত করা হয়েছে। এইখানেই রোযার বিশেষত্ব।
দুইটি বিশেষত্বের কারণে রোযা বেনিয়ায আল্লাহর সহিত সম্বন্ধযুক্ত হওয়ার উপযোগী হয়েছে-
(১) রোযার মূলতত্ত্ব হলো কামনা- বাসনা পরিত্যাগ করা এবং এটি লোকচক্ষু হইতে সম্পূর্ণ গুপ্ত অন্তরের কাজ। সুতরাং এতে রিয়ার কোন অবকাশ নাই।
(২) শয়তান আল্লাহর শত্রু এবং কামনা- বাসনা শয়তানের সৈন্য। রোযা শয়তানের সৈন্যকে পরাজিত করে। কারণ কামনা- বাসনা বর্জনই হলো রোযার গূঢ় মর্ম। এইজন্যই রসূলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- “মানব শরীরে রক্ত যেরূপ চলাচল করে শয়তান তদ্রূপ তার অন্তরে চলাচল করে। সুতরাং ক্ষুধার্ত থেকে শয়তানের পথ দুর্গম করে দাও।”
তিনি আরও বলেন: “রোযা ঢালস্বরূপ।”
আম্মাজান হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন- ‘বেহেশতের দরজায় খটখটাতে থাক।” লোকে জিজ্ঞাসা করলো -“কোন জিনিস দ্বারা?” তিনি বললেন-“ক্ষুধা দ্বারা।” রাসূলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-“রোযা ইবাদতের দরজা।”
রোযার এত ফযীলতের কারণ এই – কামনা – বাসনা সকল ইবাদাতের প্রতিবন্ধকতা এবং তৃপ্তির সহিত ভোজনে বাসনা কামনা প্রবল হয়ে উঠে; আর ক্ষুধা বাসনা কামনাকে বিনাশ করে। তাই আসুন, রোযার অন্তর্নিহিত শিক্ষা গ্রহণ করার সাধনা করি।
লেখক : মুহাম্মদ ছানা উল্লাহ শিবলী নোমানী
লেখক,গবেষক, ইসলামি আলোচক।
শিক্ষক : উত্তর হারলা পূর্ব জোয়ারা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা।
খতিব : সুজার মা জামে মসজিদ।
১৮ নং ওয়ার্ড়, পূর্ব বাকলিয়া, চেয়ারম্যান ঘাটা, চট্টগ্রাম।