চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট চট্টগ্রামের আওতাধীন হাটহাজারী আমলী আদালতে আমেনা আক্তার লাবনী প্র: লাবনী আক্তার বাদী হয়ে গত ০২/০৫/২০২৩খ্রি. তারিখে স্বামী মোঃ সাব্বির হোসেন হৃদয় কে আসামি করে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলা দায়ের করলে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। গত ১০/৫/২০২৩ খ্রি. তারিখে আসামি আত্মসমর্পণ করে আপোষের শর্তে ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন লাভ করেন। গত ধার্য তারিখ ২৬/৭/২০২৩ খ্রি. তারিখে বাদীর নিয়োজিত আইনজীবী আক্তার বেগম বিজ্ঞ আদালতকে জানান আপোষের বিষয়ে বাদীপক্ষও আগ্রহী আছেন। তবে, বিবাহের সময় বাদীনির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না-হওয়ায় কাবিননামা রেজিষ্ট্রেশন না হওয়ার সুযোগকে পুঁজি করে আসামি কর্তৃক বাদীনিকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করেছেন। এখনো যদি কাবিননামা রেজিষ্ট্রেশন করে না দেয় তাহলে ভবিষ্যতে এরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে বাদীনি আইনি সহায়তা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবেন। তিনি কাবিননামা রেজিষ্ট্রেশন পূর্বক আপোষের বিষয় বিবেচনার জন্য নিবেদন করেন। আসামিপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী মহিউদ্দিন আলমগীর বিজ্ঞ আদালতকে জানান যেহেতু আসামি বাদীনি সহিত সংসার করিতে আগ্রহী, তাদের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক বলবৎ আছে তাই মামলাটি আপোষে নিষ্পত্তির নিবেদন করেন। এসময় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বেগম কামরুন নাহার রুমী বিষয়টি আমলে নিয়ে পক্ষগনের বিজ্ঞ আইনজীবীগনকে আগামীকাল বাদী ও আসামির পিতা মাতাসহ আদালতে হাজির হওয়ায় নির্দেশ প্রদান করেন এবং তাহাদের উপস্থিতিতে কাবিননামা রেজিষ্ট্রেশন হবে জানান। আদালতের আদেশ মতে আজ বাদী ও আসামির পিতা মাতা হাজির হলে
বিজ্ঞ বিচারক বেগম কামরুন নাহার রুমী’র হস্তক্ষেপে আদালতের এজলাস কক্ষে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিজ্ঞ আইনজীবীদের উপস্থিতিতে তিন লাখ এক টাকা দেনমোহর ধার্যে বিবাহের কাবিননামা রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। এসময় বিজ্ঞ বিচারক বেগম কামরুন নাহার রুমী মহোদয়ের পক্ষথেকে আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নাজির মোহাম্মদ আবু তাহের এবং বেঞ্চ সহকারী জয়নুল আবেদীন ও প্রসেস সার্ভার এম এ হাসান আদালতে উপস্থিত সকলকে মিষ্টিমুখ করান। পরক্ষণে আপোষে মামলা নিষ্পত্তি করে আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়। আদালতে উপস্থিত আইনজীবীগন বিজ্ঞ বিচারক মহোদয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।