মানুষ বিচিত্র একটি প্রানী। আবার ভয়ংকর প্রানীদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রানী হল মানুষ। আদর,স্নেহ প্রেম- ভালবাসাতেও মানুষ নামের প্রানীটির জুড়ি নেই। কত প্রেম, কত রোমাঞ্চের কল্প কথা গল্প গাঁথা। কোনটা সত্য, কোনটা কল্পনা প্রসূত। ধর্ম গ্রন্থে, ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে বিভিন্ন শিরোনামে। ‘লাইলি মজনু’ শিরি ফরহাদ, আনার কলি। মনুমিয়া মালকা বানু, রোমিও জুলিয়েট রাধা-কৃষ্ণ, চণ্ডিদাস রজকিনী আরও কত কী। আবার সেই মানুষ হয় বিন লাদেন, মোল্লা ওমর বাংলা ভাই থেকে আজকের আইএস আই জঙ্গি। হাতেমতাই, হাজী মুহাম্মদ মহসিন, এরাও মনুষ্য প্রানী ছিলেন। যুগে যুগে মানুষের অধঃপতনের মুলে ছিল বক্রবুদ্ধি সম্পন্ন মনুষ্য প্রানীদের অনধিকার চর্চা। আদিযুগ থেকে প্রস্তরযুগ অতঃপর ধীরে ধীরে মানব সভ্যতা বিকশিত হতে শুরু করেছে। মানুষ কাঁচা খাবার পরিত্যাগ করে আগুনে পুড়ে খেতে শিখল। সমাজ নির্মানের কৌশল উদ্ভাবন করলো। পাশবিক জীবনের খোলস ছেড়ে মানবিক খোলস গজাতে শুরু করেছে। এরপর অনেক উন্নতি। বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। এখন আর কাওকে মারার জন্য ঢাল-তলোয়ার, তীর-বল্লম নিয়ে ছুটতে হয়না। ঘরে বসেই একটা বোটম টিপে দিলেই শেষ। মানুষ মারা কত সহজ। এই সহজ পথটা উদ্ভাবন করেছে কে ? উত্তর হবে ‘মানুষ’। জ্বি সেই আশরাফুল মাখলুকাত।যাকে আমাদের হুজুরেরা স্রস্টার শ্রেষ্ঠ জীব বলে সন্মানিত শব্দে সম্বোধন করে থাকেন।
মানুষ মানুষের জন্য। … … … এস,এম, মনসুর নাদিম।
