২৪শে ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে এবং ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে’ সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনের সময় যদি এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্য সব বাহিনী ব্যর্থ হচ্ছে, শুধু তখনই সেনাবাহিনী এ্যাকশনে যাবে- বলেছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। বুধবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। কবিতা খানম বলেন, “সেনাবাহিনীকে কোন বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে না। তবে যদি তারা কোন ‘এ্যাকশনে’ যায়, সেটা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে যাবেন “আমরা কখনো বলিনি যে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হবে। সেনাবাহিনীর সাথে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। বিজিবির সাথেও ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা যখন কোন এ্যাকশনে যাবেন, তখন সঙ্গে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিক্রমেই তারা যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন। – বলেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।
নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় চার-পাঁচটি স্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে। প্রথম স্তরে পুলিশ, তার পর বিজিবি, তারপর র্যাব, তার পরে থাকবে সেনাবাহিনী। যদি এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে অন্য সব বাহিনী ‘ফেল’ করছে, শুধু তখনই সেনাবাহিনী এ্যাকশনে যাবে”
যদি তেমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে সেনাবাহিনীকে ডাকার সিদ্ধান্ত কে নেবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এটা রিটার্নিং অফিসারই পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সেনাবাহিনীকে ইনফর্ম করবেন। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় রিটার্নিং অফিসারই নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করেন।”
“জেলা থেকে উপজেলা স্তর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মুভমেন্ট থাকবে। তারা ভিজিবল থাকবে – অর্থাৎ তাদের উপস্থিতি দেখা যাবে, কিন্তু পুলিশ, বিজিবি,র্যাব এই তিন বাহিনীও থাকবে।