নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামেও সেনা ও নৌবাহিনীর ১৪২৮ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়। তবে সোমবার ও মঙ্গলবার নগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প স্থাপন, ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। বুধবার সন্ধ্যা থেকে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী টহল শুরু করবেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন সেনা ও নৌবাহিনীর এই ১ হাজার ৪২৮ জন সদস্য। এর মধ্যে নগর ও জেলার ১৫টি আসনে ১ হাজার ৩২৭ জন সেনা সদস্য এবং চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ১০১ জন নৌ সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে নির্বাচন পরবর্তী সময় পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড এবং পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা দেবেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
সূত্র জানায়, মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রতিটি সংসদীয় আসনে ২ বা ৩ প্লাটুন সেনা সদস্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কিংবা প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রসহ সার্বিক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন তারা। পুরো চট্টগ্রামে ৩০ সদস্যের ৪৪ প্লাটুন সেনাবাহিনীর নির্বাচনী দায়িত্ব সমন্বয় করবেন ৭ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের ৪ প্লাটুন নৌবাহিনী নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে থাকবেন কোস্ট গার্ডের ১৩৪ জন সদস্য।
চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে ৩০ সদস্যের ৭১ প্লাটুন বিজিবি মাঠে কাজ করবে। নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রামের ১২টি উপজেলায় স্থাপন করা ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে জেলার ১০ আসন ও জেলা সংশ্লিষ্ট ৩ আসনের কার্যক্রম এবং হালিশহর বিজিবির রিজিওনাল সদর দফতর থেকে নগরের ৩ আসনে বিজিবির নির্বাচনী দায়িত্ব সমন্বয় করা হবে।