দিনদিন বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। কি দেশে বা বিদেশে, সব জায়গায় গানিতিক হারে বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। একের পরে এক ধর্ষণের ঘটনা শুনে আতকে উঠছে সাধারণ মানুষ। বয়স্ক থেকে শুরু করে আড়াই বছরের শিশুও ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সভ্যতার লেবাসে আবৃত আমাদের আধুনিক এই সমাজে। সামাজিক অবক্ষয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, নিরাপত্তাহীনতার অভাব আর মানুষের মনুষ্যহীনতার কারণে ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে বয়স্ক মহিলা, স্কুল ছাত্রী থেকে শুরু করে ছোট শিশুরাও। অনেকে মেয়েদের অশালীন আর অবাধ চলাফেরাকে দায়ী করলেও এই পর্যন্ত যতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সবই নিরাপত্তাহীনতা জনিত কারন এবং বিকৃতমন-মানসিকতা। আশ্চর্য হলেও সত্য যে ৮ বছরের মেয়ে ধর্ষণের স্বীকার হয়ে বিচার না পাওয়া এবং তার বাবার রেল লাইনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা আমাদের সভ্যসমাজের অবক্ষয়ের চিত্র ফুটে উটছে। এই সামাজিক অবক্ষ থেকে বের হওয়ার রাস্তা আমাদেরকে বের করতে হবে।
এক শ্রেণীর মানুষ ধর্ষণের জন্য দায়ী করছেন শুধুই নারীদের। মূলত ধর্ষণের ঘটনা ঘটাচ্ছে বিকৃত মস্তিষ্কের পুরুষরাই যার ভুক্ত ভোগী কিন্তু ধর্ষণের স্বীকার নারীগন। ধর্ষণের জন্য দায়ী ধর্ষক, তাদের মস্তিষ্ক বিকৃতির জন্য বড় মাধ্যম হিসেবে র্বতমানে কাজ করছে ইন্টারনেটের অপব্যবহার। মানুষ যা করতে চায় তা করতে দেয়ার অবাধ স্বাধীনতা, অশালীন কাজকর্ম, ক্ষমতার অপব্যবহার করতে বাঁধা না দেয়া, মাদকের গণ হারে ব্যবহার, অপসংস্কৃতির চর্চা, ধর্মীয় বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকা ইত্যাদি অনেকাংশে ধর্ষণের জন্য দায়ী। নারীর পোশাকই যদি ধর্ষণের জন্য একক ভাবে দায়ী হত তাহলে রাস্তায় চলাফেরা করা নারীদের সম্ভব হত না। মুলত সামাজিক ভাবে দুর্বল নারীগণ বারবার ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে। সমাজ, প্রশাসন ও আমাদের সবাইকে এক হয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও ধর্ষণ প্রতিরোধে কাজ করতে হবে তবেই ধর্ষণ রোধকরা যাবে। একদল অসুস্থ মানুষ যেমন ধর্ষণের দিকে ছুটছে তাদের মস্তিষ্কের অবক্ষয় রোধে আমাদের কেও এগিয়ে আসতে হবে। মাদক সেবন, ইন্টারনেটের অপব্যবহার, অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ, মস্তিষ্ক বিকৃতির সকল পন্থা রোধে এগিয়ে আসতে হবে সাথে সাথে নিরাপত্তা বিষয়টিও জোরদার করতে হবে ধর্ষণ প্রতিরোধে।
নারী বা পুরুষ সবাই যার যার নীতি থেকে সরে আসলে এ ব্যাপারটির সমাধান আসবে না, শুধুই তর্ক বাড়বে আর তর্কের আড়ালে ধর্ষণের ঘটনা কে ঠেকানো যাবে না বরঞ্চ তা বেড়েই চলবে। নারী যদি শালীন ভাবে চলাচল করে তবে তার নিজের জীবনের নিরাপত্তা কিছুটা নিশ্চিত হয়। সাথে সাথে পারিবাকি ও সামাজি ভাবে সচেতনতা এবং মন-মানসিকতার পরিবর্তন ধর্ষণ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।