সীমায়িত খণ্ডিত মন কে শ্বাস রুদ্ধ করে রাখি ।
আসলে মন কি সীমায়িত ?
শীর্ণকায় ছায়া পথ আল দিয়ে সরু করে রাখি
ছায়া পথ কি কখনো শীর্ণকায় ?
আকাশ তাকিয়ে আছে পৃথিবীর দিকে ।
বস্ত্র হরণ করা যায় ,মন কে নয় ।
মন আপন ভুবন খুঁজবেই ।
মন কখনো রুগ্ন হয়, কখনো বিদ্রোহী,
কখনো প্রেমময় ,কখনো ত্যাগে- ত্যাজে দীপ্ত !
জীবনের অসমাপ্ত কবিতার পাণ্ডুলিপি
জীবনের শুরুতেই হারিয়ে ফেলেছি ।
জীবন হয়ে ওঠছে গুচ্ছ কবিতা ।
যাপিত জীবনে ছেয়ে থাকা নীল
অম্বরে নয়, নীল ছোবলের দুঃখগাঁথা ।
কহু শব্দ কর্ণ কুহুরে অস্মাপ্ত জীবনের
গুনগুনানী নিঃশব্দে বয়ে বেড়ায় নিশাচর হয়ে ।
চোখ মেলেছি আকাশে, শান্তির পায়রা নীড় ভেঙ্গে যায় ।
প্রাচীন বটের মতো আমি ঠাই দাঁড়ীয়ে
দীর্ঘ পথের প্রশান্তি দিয়ে , পথের ঐশ্বর্য কে আপন করে
মস্ত শাখা নির্বাক মেলে উদাসী দৃষ্টিতে
আকাশ কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমায় ?
বর্তের বাগানে বনস্পতি, বন্ধা, নিস্ফলা মাঠ আমি নই ।
তবে কেন একাকীত্ব আমার নির্ভার আশ্রয়, ঠিকানা ।
জীবনের খাকি রঙা, ডাক- হরকরা আমি
ছুটেছি, ছুটছি রানার হয়ে পিঞ্জিরা থেকে পিঞ্জিরায়
স্বজনের রসদ হাতে নির্মাণের কারিগরি কুশলতায় ।
জোনাকির হুইসেল, বোলতার শো শো কলরোলে
কিংবা অন্তঃসত্ত্বা বাদুরের কান্নায় মনজগতে প্রভাব ফেলেনি ।
জংধরা মনের গোপন ছিপি খুলে দিয়েছি
দেওলিয়া হয়ে যা কারো প্রেমে !
চোখ দেখে দগ্ধ পৃথিবীর ছবি, বেলা তো মাঝ ঘরে ।
সময়ের ঘড়ি বলে দিয়েই খালাস !
পাতা ঝরা আমলকির বন কেউ ঘুঁটে খায়না ।
কাসুন্দি তো দুরের কথা !
মরা কোষ গুলো ঝড়ে যাচ্ছে মর্মর ধ্বনি ছড়িয়ে ।
……………………অথচ…………………………………
মৌন ধ্যান মগ্ন আমি ভাবনা বিলাসে আটার তে !!!
যাপিত জীবনে নীল ছায়া, নীল কদর, নিলাম্বর
সব নিলে ধরেছে আমাকে ।
নামতা যদি নীলা হতো
হতে পারতো
বস্ত্রহীন আমি যদি প্রথম লগ্নে মাকে হারাতাম ।
বাবা জিতে গেলো কয়েক বছরের ব্যাবধানে ।
তাই নীলা হলাম না !
পান্থশালায় প্রশান্তি দিয়ে
নীল অম্বরে উড়ে যেতে চাই নির্বিঘ্নে ।
নিঃসংকোচে, নির্ভয়ে যেমন করে
নীলেরা আকাশে ভেসে বেড়ায় !!!
জয়তু নীল .. .. .. .. শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম।
