ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপপ্রধান পার্লামেন্টারি প্যানেলকে জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার আধুনিকায়নের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল না দেয়ায় সেনাবাহিনী হতাশ এবং এ কারণে তারা চলমান ক্রয় প্রক্রিয়াগুলো শেষ করতে পারবে না। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য তবহিল সঙ্কটের বিষয়টি এমন সময় সামনে এলো যখন রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল)-কে ঋণ করে কর্মচারিদের বেতন দিতে হচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। উপপ্রধান দাবি করেছেন: “বাজেটে সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ সামান্য বাড়ানো হয়েছে, সেটা সেনাবাহিনীকে সকল আশা শেষ করে দিয়েছে। বরাদ্দ বাজেট দিয়ে মূল্যস্ফীতির ধাক্কাটুকু পর্যন্ত সামলানো যাবে না। অতিরিক্ত করের বোঝা তো রয়েছেই”।
বিজেপি এমপি এবং সাবেক কেবিনেট মন্ত্রী কালরাজ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি তাদের রিপোর্টে বলেছে, “২০১৮-১৯ সালে আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, চলমান স্কিম, মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প, অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট খুবই অপ্রতুল”।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য বলেছে যে: “তারা ভাইস চিফ অব আর্মি স্টাফের বক্তব্যের সাথে একমত নয়। এমন বছর গেছে যখন সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বরাদ্দ বাজেট তারা ব্যবহার করতে পারেনি”।
কমিটি বলেছে যে, আধুনিকায়নের জন্য তিন বাহিনী বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ১,৩২,২১২.৩৪ কোটি রুপি বরাদ্দ চেয়েছিল কিন্তু বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ৮৬,৪৮৮.০১ কোটি রুপি।
প্যানেল বলেছে, “চাহিদা দেখানো হয়েছে ১,৭২,২০৩.৩ কোটি রুপি কিন্তু বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯৩,৯৮২.১৩ কোটি রুপি। এখানে দায় থাকছে ১,১০,০৪৩.৭৮ কোটি রুপি। এভাবে, প্রতিশ্রুত দায়ের তুলনায় বাজেট বরাদ্দ এখানে অনেক কম”।
প্রতিশ্রুত দায় হলো সেই পরিশোধ উপযোগী অর্থ, যেগুলো আগের অর্থবছরগুলোতে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কেনার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী এরই মধ্যে চুক্তি করে ফেলেছে।
কমিটি তাদের রিপোর্টে আরও বলেছে যে, নৌবাহিনীর প্রতিনিধিরাও একই ধরণের কথা বলেছেন যে স্বল্প বরাদ্দের কারণে তাদের নতুন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি এবং বিভিন্ন চুক্তি সময়মতো শেষ করতে সমস্যা হবে।
কমিটি বলেছে, জরুরি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিলম্ব, সংশ্লিষ্ট ব্যায়ের বোঝা, অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির উপর এর প্রভাব, এবং ঘাটতি পূরণে ব্যর্থতা সাধারণভাবে ভারতীয় নৌবাহনীর আধুনিকায়নের গতিতে বাধা সৃষ্টি করবে।