বুধবার ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চলচ্চিত্রকার আলমগীর কুমকুম এর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা’য় তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বিএনপির নেতাকর্মীরা পদ্মা সেতু ব্যবহার করবেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, খালেদা জিয়া বলেছিলেন শেখ হাসিনা কখনোই পদ্মা সেতু করতে পারবেন না। তার সঙ্গে বিএনপির নেতারাও বলেছিলেন আওয়ামী লীগ কখনোই পদ্মাসেতু বানাতে পারবেন না। ইনশাল্লাহ পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান হচ্ছে। পদ্মা সেতুর কাজ এখন প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ। ইনশাল্লাহ কিছুদিনের মধ্যে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলবে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপি নেতারা সেই পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাবেন কিনা? নাকি তখনও তারা ফেরি দিয়ে পার হবেন?’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ‘বিশেষজ্ঞ ডাক্তার’ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব উনারা সকলেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হয়ে গেছেন। কিছুদিন পরপর উনারা সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ, তার কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না। তার কোনও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না। মনে হচ্ছে রিজভী সাহেবও ভেতরে ভেতরে ডাক্তারি পাস করেছেন। মির্জা ফখরুল সাহেবও ভেতরে ভেতরে ডাক্তারি পাস করেছেন। প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়ার জন্য কারাগারের ভেতরে একজন ডাক্তার ও একজন নার্স সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যাচার করবেন না এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। আর আপনাদের রাজনীতি বেগম জিয়ার হাঁটুর মধ্যে আটকে রাখবেন না’।
সাংস্কৃতিক কর্মীদের অনুরোধ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে যেন লালন করি, ধারণ করি ও চর্চা করি। আমরা যেন গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়ে বিজাতীয় সংস্কৃতিকে আমাদের দেশে এনে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে সেগুলোকে ব্যবহার না করি। কারণ, বাঙালির সংস্কৃতি এবং ভাষা দু’টিই অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বাংলা সাহিত্য পৃথিবীর সমৃদ্ধ সাহিত্যগুলোর মধ্যে একটি।
চলচ্চিত্রকার আলমগীর কুমকুমকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে যখন আমাদের সমাবেশ করতে নানা প্রতিবন্ধকতা পার হতে হতো, তখন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সংগঠিত করে এই সাংস্কৃতিক জোটের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করতাম। আলমগীর কুমকুম এই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করে দিয়েছিলেন’।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, সঙ্গীত শিল্পী রফিকুল আলম, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।