বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে অনতিবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। মঙ্গলবার রাত ৯টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
গত রোববার জাতীয় সংসদে কওমি মাদ্রাসাকে ‘বিষবৃক্ষ’ বলে সম্বোধন করে দেওয়া বক্তব্যের কড়া সমালোনা করেন হেফাজতের এ নেতা। একই সঙ্গে এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
বার্তায় হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফী বলেন, রাষ্ট্রীয় কোনো সহযোগিতা ছাড়া দেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধি, দুর্নীতি, মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ এবং একটি ধর্মপ্রাণ জাতি উপহার দিতে কওমি মাদ্রাসা অনন্য নজির স্থাপন করেছে, যা দেশের ইতিহাসে বিরল।
তিনি বলেন, সৎ, যোগ্য ও ধর্মপ্রাণ নাগরিক তৈরির পবিত্র স্থান কওমি মাদ্রাসাকে রাশেদ খান মেনন বিষবৃক্ষ বলে আলেম-উলামা, ছাত্র সমাজ ও কোটি মানুষের মনে আঘাত করেছেন। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কওমি মাদ্রাসাকে বিষবৃক্ষ বলে সম্বোধন করে মেনন রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। এ জন্য অনতিবিলম্বে রাশেদ খান মেননকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়, রাশেদ খান মেননের দেওয়া বক্তব্যে ধর্মবিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। অনতিবিলম্বে প্রকাশ্যে যদি ক্ষমা না চায়, তাহলে তৌহিদী জনতা এসব কটূক্তি, অপপ্রচার ও ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্যের সমুচিত জবাব দেবে।
মুসলমানদের ঈমান-আকিদা রক্ষার সংগ্রামে সববৃহৎ ধর্মীয় সংগঠন দাবি করে আমিরে হেফাজত বলেন, হেফাজতের কাজ হলো, মহান আল্লাহ তা’আলা, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও হজরতে সাহাবায়ে কেরামের শান-মান মর্যাদা রক্ষা, নাস্তিক্যবাদী ইসলামবিদ্বেষী মোকাবেলায় সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। দেশি-বিদেশি কোনো অপশক্তি ইসলামকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেয়ার স্পর্ধা দেখালে দেশের তৌহিদী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে।
এ ছাড়া যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে হেফাজতে ইসলাম।