জাতির অগ্রযাত্রায় দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই-ডায়মন্ড লাইফের সভায় চেম্বার সভাপতি মাহাবুবুল আলম।
চেম্বার সভাপতি মাহাবুবুল আলম বলেন একটি জাতিকে তার লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছাতে গেলে দক্ষ জনগোষ্ঠীর কোন বিকল্প নেই। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা অনেক এগিয়েছি। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান একটা জায়গায় পৌঁছেছে। আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য ঠিক রাখতে গেলে দক্ষ জনগোষ্ঠী ছাড়া তা সম্ভব নয়। ডায়মন্ড লাইফের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলনে গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যটন হোটেল সৈকতের কনফারেন্স হলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি ও ডায়মন্ড লাইফ ইনসুরেন্সের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম একথা বলেন।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন সিইও পিপলু বিশ্বাস। কোম্পানীর কনসালটেন এম.এ হাসান নুরুল্লাহ এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ডিএমডি মফিজুর রহমান টিপু, কোম্পানীর সচিব রফিজ্জুামান রিপু, সিএফও মামুন খান। অনুষ্ঠান শেষে দক্ষ কর্মীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রকৌশলী মোঃ নাজিমুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, বিকাশমান বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় ব্যক্তিখাতে কর্মরতদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে সরকার।
বিকাশমান বাংলাদেশের অর্থনীতি, সামাজিক সূচক, কর্মসংস্থান ও অপরিহার্য পরিসেবার কর্মযজ্ঞে বেসরকারি খাতের গুরুত্ব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৯০র দশকে দেশে বেসরকারিখাতের তেমন উল্লেখযোগ্য অবদান পরিলক্ষিত না হলেও ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জাতীয় জিডিপিতে শিল্প ও সেবা, নির্মাণ, কৃষি, পরিবহন, উৎপাদনে বেসরকারি খাতে ৬৭ ভাগ অবদান ছিল। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রগতিশীল ভিশনারি নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ক্রমেই পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ ধারণাটা গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ২২৬৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের রেকর্ড কিংবা বিশাল কর্মসংস্থান সুযোগ সবই বেসরকারিখাতের উদ্যোক্তা ও কর্মীদের কর্মনিষ্ঠার ফসল। বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি মেগা প্রকল্প, হাইটেকপার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সম্ভাবনার যে দিগন্ত উন্মোচিত হতে যাচ্ছে, সেখানে ব্যাপক সংখ্যক কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। বেসরকারিখাতের এই বিশাল কর্মযজ্ঞে দক্ষ জনশক্তির প্রাধান্য থাকবে, সেটি নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না।
বিশ্বের যে সকল দেশ আজ অর্থনৈতিক ও জীবনমানের মানদন্ডে শীর্ষে অবস্থান করছে, সেখানে ব্যক্তিখাত বা বেসরকারি খাতে ভূমিকা বলতে গেলে আকাশচুম্বি। এই বিকাশমান বেসরকারিখাতে কর্মীর চাকরির নিশ্চয়তা, প্রাপ্য বেতন মজুরী, কর্মঘন্টা সবকিছু আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার নির্দেশনায় নির্ধারিত বা পরিচালিত। কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে ব্যক্তিখাতে উদ্যোক্তরা রাজনীতি ও সরকার ব্যবস্থায় এতোটাই প্রভাব বিস্তার করে আছে, তাতে বেসরকারিখাতকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিকাশমান বেসরকারিখাত এখনো শ্রমব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উপনীত হতে পারেনি। বরং, বলা যায়-কর্মীর শ্রমশোষণই তাদের মুনাফার অন্যতম অনুঘটকের ভূমিকা রাখছে। আপাতত দৃষ্টিতে বেসরকারিখাতের শৈন শৈন উন্নতি লক্ষ্য করা গেলেও, শ্রমব্যবস্থায় চরম বিশৃঙ্খলার কারণে এক সময় এখাত মুখ থুবড়ে পড়বে। বিশাল কর্মীবাহিনীকে শোষণ ও বঞ্চনার মাঝে রেখে প্রকৃতঅর্থে একটি সেক্টরের উন্নয়ন স্থিতিশীল হতে পারে না। যখন তখন কর্মী ছাঁটাই, ন্যায্য মজুরী প্রদানে মালিকপক্ষের অনীহা, চাকরির অনিশ্চয়তা কখনো কর্মীদের উন্নয়নবান্ধব মানসিকতার পথে ধাবিত করে না। বাংলাদেশে বিকাশমান অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়ার জন্য এটিই অন্যতম কারণ। অন্যদিকে যে সকল বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্মীবান্ধব বা অংশীদারিত্বের মানসিকতায় গড়ে উঠেছে, শ্রমিক মালিকের হাত ধরে ঐসব প্রতিষ্ঠান যুগের পর যুগ টিকে আছে। বিকশিত হচ্ছে। ভারতের টাটা গ্রুপ এক্ষেত্রে আমাদের উদাহরণ হতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানে যে বা যারা কাজ করছে, কেউ নিজেদের কর্মী ভাবছে না। বরং মালিকপক্ষের অংশ ভেবে নিজের সক্ষমতার পুরোটাই উজাড় করে দিচ্ছে। এ ধরনের কর্পোরেট সংস্কৃতি আমাদের উদীমান বেসরকারিখাতে স্বল্প পরিসরে লক্ষ্য করা গেলেও অধিকাংশই শোষণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে কর্মী মালিকের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি হচ্ছে না। এটি বেসরকারিখাতের বিকাশের পথকে এক সময় রুদ্ধ করে দেবে।
দক্ষ হাত সক্ষমতার পরিপূরক। এ সত্য উপলব্ধি আমাদের মালিকপক্ষ যতোদিন বুঝতে ব্যর্থ হবেন, ততোদিন আমরা টাটা গ্রুপের উদাহরণে পৌঁছতে পারবো না। বাংলাদেশে বেসরকারিখাতের বিকাশে দক্ষ জনবল হিসেবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বরং নি¤œ বেতন ও পদবী নির্ধারণ, যখন তখন ছাঁটাইয়ে ভয় তাদেরকে নিত্য তাড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে অবকাঠামো নির্মাণ, আবাসন, সড়ক ও সেতু নির্মাণ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, শিল্প উৎপাদন ক্ষেত্রে যে উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, সেখানে মূল কুশীলব হিসেবে কাজ করছে মধ্যম স্তরের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ। এই বিশাল কর্মীবাহিনীর চাকরি নিশ্চয়তা, ন্যূনতম বেতন ভাতাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। অসংগঠিত এই বিশাল প্রকৌশলী নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না থাকায় ব্যক্তি মালিকগণ তাদের বিভিন্নভাবে শোষণ ও বঞ্চনা করে যাচ্ছেন। সংগঠিত না থাকায় এই শোষণ ও বঞ্চনার উত্তরণে তারা সোচ্চার হতে পারছে না। যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে শোষণ থাকতে পারে না। এই ভাবনা থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অভিভাবক সংগঠন ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র সার্বিক দিক নির্দেশনায় প্রাইভেট সেক্টরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াসে গঠন করা হয় ‘প্রাইভেট সেক্টর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ।
এই সংগঠনের পক্ষে বেসরকারিখাতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ, বেতন ভাতা ও পদবী নির্ধারণ, কর্ম নিশ্চয়তা, আনুষঙ্গিক প্রাপ্তির সুনিশ্চিতকরণ ও আন্তর্জাতিক শ্রম আইন কঠোরভাবে প্রতিপালনের সহযোগিতা চেয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি-বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার শিল্প মালিক ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সাথে আলোচনা করে শীঘ্রই একটা সমাধানে আসবেন। মালিক ও দক্ষ কর্মীর সেতু বন্ধনে অগ্রসরমান বাংলাদেশ সমৃদ্ধির সোপানে পৌঁছবে আপন মহিমায়। সেটাই বেসরকারিখাতে কর্মরত ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের একান্ত প্রত্যাশা।
লেখক : সাধারণ সম্পাদক, প্রাইভেট সেক্টর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ
আগামী ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে দোকানপাট ও শপিংমল, বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় দিন থেকে খুলছে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ১১ আগস্ট থেকে শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এছাড়া সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অর্ধেক আসন খালি রেখে খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে। সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৮ দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবার বিধিনিষেধ শুরু হয়। সেই বিধিনিষেধ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
আরো ৩৯ ধাপ এগিয়ে, আবারো বিশ্বসেরা এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় দেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে টানা নবম বারের মতো অবস্থান ধরে রেখেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শতাব্দী প্রাচীন বিশ্বখ্যাত ফিন্যান্সিয়াল ম্যাগাজিন ‘দ্য ব্যাংকার’ প্রণীত ২০২০ সালেরর র্যাংকিংয়ে ইসলামী ব্যাংকের অবস্থান ৯০৪তম, ২০১৯ সালে যা ছিল ৯৪৩তম। ইসলামী ব্যাংক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এর আগে ২০১২ সালে ইসলামী ব্যাংক দেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে প্রথম বিশ্বসেরা ব্যাংকের এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এ অর্জনে বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দেশবাসীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক ১ লাখ কোটি টাকা আমানতের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। আমানতের পাশাপাশি এ বছরের জুনে অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে সর্বোচ্চ বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। গত এক বছরে ইসলামী ব্যাংক ৩৫ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স আহরণ করেছে, যা ৪ হাজার ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ। বর্তমানে রেমিট্যান্স আহরণে ইসলামী ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার ৩২ শতাংশ।
শরিয়াহিভত্তিক ব্যাংকিংয়ের অগ্রপথিক এ ব্যাংকের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা দেড় কোটি। ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ৩৫৭টি শাখা, ৬০টি উপশাখা, ১ হাজার ২০০টি এজেন্ট আউটলেট, ৬৬০টি নিজস্ব ও প্রায় ১১ হাজার শেয়ারড এটিএম ও সিআরএম বুথের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছে।
ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবার বোরো মৌসুমে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মিলগেট থেকে চাল প্রস্তুত করে বাজারে ছাড়ায় মোকামে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালে কমেছে সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।
কুষ্টিয়া, নওগাঁ ও দিনাজপুরের চালের মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ২১০০ টাকায়। যা ১৩ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২৬০০ টাকায়। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, বস্তায় দাম কমেছে ৫০০ টাকা।
এছাড়া প্রতিবস্তা নাজিরশাল বিক্রি হয়েছে ২৪৫০ টাকা। যা ১৩ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২৬৫০ টাকায়। সেক্ষেত্রে নাজিরশাল চালে বস্তায় কমেছে ২০০ টাকা।
বিআর-২৮ জাতের চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ১৮০০ টাকা। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২১০০ টাকা।
এছাড়া মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ১৭৫০ টাকা। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকা।
রাজধানী সর্ব বৃহৎ চালের পাইকারি আড়ত বাদামতলী ও কারওয়ান বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ দিন প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকায়।
প্রতিকেজি নাজিরশাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫৪ টাকায়।
পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন ধান আসায় মোকামে সব ধরনের চালের দাম কমেছে। এ কারণে পাইকারিতেও চালের দাম কমছে। তবে আর কয়েকদিন পর পুরোপুরি ধান কাটা হলে চালের দাম আরও কমে আসবে।
দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন পরিবারে করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে এলো সুসংবাদ। তাদেরকে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর বাইরে ওয়ালটন আরো সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি টাকা দিচ্ছে সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে।
বুধবার (২৫ মার্চ) ওয়ালটন গ্রুপে কর্মরতদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই অর্থ চলে গেছে। ওয়ালটনের শ্রমিক-কর্মকর্তা সবাই সমপরিমাণ অর্থ পেয়েছেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে ওই টাকা পেয়ে মহাখুশী প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এই আন্তর্জাতিক দুর্যোগের সময় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়ালটন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যার যার সাধ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন) এস এম জাহিদ হাসান বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতা এবং নিয়ম-নীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে ওয়ালটন। নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটি সব মহলে প্রশংসিত। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে ৭৬ কোটি ৮০ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮০ টাকা শ্রমিক-কর্মকর্তাদের মাঝে সমবন্টন করলো ওয়ালটন। এর বাইরে এ বছর সরকারি শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ওয়ালটন জমা দেবে ৭ কোটি ৬৮ লাখ ৫ হাজার ৮৪৮ টাকা। যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে শীর্ষ অর্থদাতা হিসেবে রয়েছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন কারখানায় কর্মরত এক শ্রমিক বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে কারখানাসহ সব অফিস ছুটি দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস যাতে না ছড়ায়, তাই সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিকে মাসের প্রায় শেষ। এর মাঝে এতগুলো টাকা পেয়ে খুব উপকার হলো। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার জানান, কারখানাসহ সব অফিস ছুটি দেওয়া হলেও বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুপমেন্ট), হ্যান্ড সেনিটাইজার ইত্যাদি উৎপাদন এবং বিতরণের কাজ চলছে। বোর্ড পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা।
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের কারণে অভাবী মানুষদের জন্য সামাজিক সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে ওয়ালটন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মেটাতে যারা হিমশিম খাচ্ছেন, এরকম ৪০ হাজার মানুষের খাবার সরবরাহে কাজ করছে ওই ফাউন্ডেশন।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড পাবলিকেশন) উদয় হাকিম জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার সেট এফডিএ এবং সিই সার্টিফাইড বিশ্বমানের পিপিই দিচ্ছে ওয়ালটন। যার মধ্যে রয়েছে প্রোটেকটিভ স্যুট, মেডিক্যাল মাস্ক, গ্লাভস, স্যু কভার, সেফটি গগলস, হেড ক্যাপ এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালগুলোর জন্য অক্সিজেন সরবরাহ যন্ত্র (ভেন্টিলেটর) সহ আরো বিপুল পরিমাণ পিপিই সরবরাহ করবে ওয়ালটন। প্রায় ২০ হাজার সেলস পয়েন্টের মাধ্যমে দেশের সর্বত্র সচেতনতা এবং সেনিটাইজেশন কার্যক্রম চালাচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এছাড়া সংবাদকর্মীদের জন্য হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই ইত্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্দ্যেগে, বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সর্ম্পকে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় বীমা দিবস-২০২০।
আজ (১ মার্চ) সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানিকভাবে বীমা দিবসের উদ্বোধন করেন। ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন, বীমা সংগঠক ও জেনিথ ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী এবং বিআইএফ’র প্রেসিডেন্ট বিএম ইউসুফ আলী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে দিনব্যাপী বীমা মেলা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৭৮টি লাইফ ও নন-লাইফ কোম্পানী মেলায় অংশ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বীমা মেলার স্টল পরিদর্শন করবেন।
দেশের বীমা খাতে বিশেষ অবদান রাখায় সাধারন বীমা করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান খোদা বক্স, গোলাম মাওলা, বিজিআইসি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ সামাদ, জীবন বীমা করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান শমসুল আলম এবং ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফায়েত আহমেদকে এবারের বীমা মেলায় বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে। জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষ্যে আগামীকাল ২ মার্চ রাজধানীর হাতির ঝিলের আর্মি থিয়েটারে সন্ধা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের অনেক ব্যাংক এখনো ৯ বছর মেয়াদি আমানত সংগ্রহ করছে। আর আশ্বাস দিচ্ছে মেয়াদ শেষে তিন গুণ টাকা ফেরত দেওয়ার, যাতে সুদহার পড়ছে ১২ শতাংশের বেশি। এমন ব্যাংকের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও ৬ বছর মেয়াদি আমানত নিচ্ছে সবাই, যাতে সুদহার পড়ছে ৬ থেকে ১০ শতাংশ।
এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী এপ্রিল মাস থেকে আমানতে ৬ শতাংশের বেশি সুদ দেওয়া যাবে না। আর ঋণের সুদ হবে ৯ শতাংশ। এতে দীর্ঘমেয়াদি আমানত যার যত বেশি, তার আয় কমবে তত বেশি। কারণ, ব্যাংক আমানতের ৩০ শতাংশই ৬ মাস থেকে ৯ বছর মেয়াদি। আর গ্রাহকদের সঙ্গে ব্যাংকগুলো সুদ দেওয়ার যে চুক্তি করেছে, তা লঙ্ঘনেরও কোনো সুযোগ নেই। বেশি সুদ দেওয়া অব্যাহত রাখলে লোকসান গুনতে হবে। এতে বড় সমস্যায় পড়বে পুরো ব্যাংক খাত।
এখন থেকে ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটে ‘এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০ মডেলের মিডিয়াম হউল’ উড়োজাহাজে যাত্রী পরিবহন করবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিন ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করবে। এর বাইরে অন্য ফ্লাইটগুলোর উড়োজাহাজ আগেরটাই থাকবে। এই ফ্লাইটগুলো সপ্তাহে তিন দিন (বুধ, বৃহস্পতি ও রোববার) ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করবে।
পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় আমদানিমূল্যের সঙ্গে বাজারমূল্যের ব্যবধানও বাড়ছে। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর ২৩ দিন পেরিয়ে গেছে। এ সময়ে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি সেভাবে বাড়েনি। চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের দামও কমছে না। বড় শিল্পগোষ্ঠীগুলো পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দিলেও এখনো তা বাজারে আসতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ফলে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট শিগগির কাটছে না।
সব মিলিয়ে বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণের বেশি। যেমন মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪২ টাকায়। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এর আগে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৭২ টাকা কেজি দরে। বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। মিসরের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ২৫ টাকা কেজি দরে, বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় আমদানিমূল্যের সঙ্গে বাজারমূল্যের ব্যবধানও বাড়ছে।